মোঃ মশিউর রহমান বিপুল, কুড়িগ্রাম।।
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলায় বিষধর সাপ ধরতে গিয়ে সাপুড়ে বয়েজ উদ্দিন (৪৫) সাপের কামড়ে মারা গেছেন।
বুধবার (৩০ জুলাই) সকালে কালিগঞ্জ ইউনিয়নের কমেদপুর কাপালি পাড়া এলাকায় এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। নিহত বয়েজ উদ্দিন বল্লভের খাষ ইউনিয়নের ডাক্তারপাড়া এলাকার বাসিন্দা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কাপালি পাড়ার ইমরান আলীর রান্নাঘরে একটি বিষাক্ত সাপ দেখে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
পরিবারের সদস্যরা তৎক্ষণাৎ বয়েজ উদ্দিনকে খবর দেন। তিনি দ্রুত সেখানে পৌঁছে স্থানীয়দের সহায়তায় রান্নাঘরের একটি ইঁদুরের গর্ত থেকে একটি বিষধর সাপ ও তিনটি বাচ্চা উদ্ধার করেন।
তবে সাপটিকে বস্তায় ঢোকানোর সময় হঠাৎ করে সাপটি তার হাতে ছোবল মারে। ছোবলের পরপরই তার শরীরে বিষক্রিয়া শুরু হয়।
তাৎক্ষণিকভাবে তাকে ভূরুঙ্গামারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার চেষ্টা করা হলেও পথেই তার মৃত্যু হয়।
নিহতের ভাগনে সিরাজুল ইসলাম জানান, বয়েজ উদ্দিন পেশায় সেলো মেশিন মেকানিক হলেও দীর্ঘদিন ধরে সাপ ধরার কাজ করতেন।
তবে এলাকাবাসীর আশঙ্কা যে কোনো সময় তিনি পেশাদার
সাপুড়ে ছিলেন না
স্থানীয় লোকজনের ডাকে সাড়া দিয়ে সাপ ধরতে গিয়ে এ দুর্ঘটনার শিকার হন তিনি।
এ বিষয়ে ভূরুঙ্গামারী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবু সাজ্জাদ মোহাম্মদ সায়েম বলেন, “হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই তার মৃত্যু হয়।”
সাম্প্রতিক সময়ে গ্রামীণ এলাকাগুলোতে প্রশিক্ষিত সাপুড়ে ও পর্যাপ্ত চিকিৎসা সেবার অভাবে এমন দুর্ঘটনা বেড়ে যাচ্ছে বলে মনে করছেন সচেতন মহল।
স্থানীয়ভাবে সাপ ধরা বা সাপ সংক্রান্ত বিপদের সময় কীভাবে দ্রুত ও নিরাপদ পদক্ষেপ নেওয়া যায়, সে বিষয়ে জনসচেতনতা বাড়ানোর দাবি উঠেছে৷