দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ৩৬ বছর বয়সী এই ব্যক্তি সরকারি স্থাপনায় হামলা করেন। এ সময় আরও কয়েক জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
কিন্তু প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, নিরাপত্তা বাহিনী আগে বিক্ষোভকারীদের আক্রমণ করেন।
গত রবিবার হাভানায় প্রথম বিক্ষোভ শুরু হয়। মঙ্গলবার তা দেশ জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। বিভিন্ন এলাকায় রাস্তায় নেমে সরকার-বিরোধী স্লোগান দিতে থাকেন সাধারণ মানুষ।
এখন পর্যন্ত কতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তা জানায়নি পুলিশ। তবে বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য, শুধু মঙ্গলবারই শতাধিক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সরকার সমর্থকরাও রাস্তায় নেমে পড়েছেন। কোনো কোনো জায়গায় বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হয়েছে। তাদের অভিযোগ, মার্কিন চক্রান্তে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন একদল মানুষ।
বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য, কিউবায় খাদ্যাভাব শুরু হয়েছে। ওষুধ মিলছে না। চাকরি নেই। তারই মধ্যে নতুন করে কভিড সংক্রমণ বেড়েছে। সরকার কোনো ব্যবস্থাই নিচ্ছে না।
কিউবার প্রেসিডেন্ট এবং কমিউনিস্ট পার্টির প্রধান মিগেল দিয়াজ কানেল সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, মার্কিন মদতেই বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। শক্ত হাতে তা রুখে দেওয়া হবে। মঙ্গলবারও টেলিভিশন-বক্তৃতায় বিক্ষোভ থামানোর নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।