খুলনার তিন হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে ১২ জনের প্রাণহানি হয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়।
খুলনা করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে দুইজন করোনায় ও তিনজন উপসর্গ নিয়ে, জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে চারজন এবং গাজী মেডিকেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। তবে শহীদ শেখ আবু নাসের হাসপাতালের করোনা ইউনিটে গত ২৪ ঘণ্টায় কারো মৃত্যু হয়নি।
খুলনা করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালের ফোকাল পার্সন ডা. সুহাস রঞ্জন হালদার জানান, হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় দুইজন ও উপসর্গ নিয়ে তিনজন মিলে মোট ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
হাসপাতালটিতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ২০১ জন। যার মধ্যে রেড জোনে ১৩৫ জন, ইয়েলো জোনে ২৬ জন, আইসিইউতে ২০ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ৩৮ জন। আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২১ জন।
খুলনার শহীদ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালের করোনা ইউনিটে গত ২৪ ঘণ্টায় কারও মৃত্যু হয়নি বলে জানিয়েছেন ডা. প্রকাশ দেবনাথ।
হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ভর্তি রয়েছেন ৪৪ জন। তার মধ্যে আইসিইউতে রয়েছে ১০ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ৬ জন আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৬ জন।
খুলনা জেনারেল হাসপাতালের ৮০ শয্যার করোনা ইউনিটের মুখপাত্র ডা. কাজী আবু রাশেদ জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে চারজনের মৃত্যু হয়েছে।
মৃত ব্যক্তিরা হলেন- খুলনার রূপসার শেখ ওলিয়ার রহমান (৭৫), বাগেরহাট মোল্লাহাটের তরিকুল ইসলাম (৭২), মোড়েলগঞ্জের মোকসেদ হাওলাদার (৫০) এবং একই এলাকার আবু জাকের মিয়া (৭৬)।
এছাড়া চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৬৮ জন, তার মধ্যে ৩২ জন পুরুষ ও ৩৫ জন মহিলা। গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ৮ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১২ জন।
গাজী মেডিকেল হাসপাতালের স্বত্ত্বাধিকারী ডা. গাজী মিজানুর রহমান জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালের করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।
মৃত ব্যক্তিরা হলেন- খুলনা মহানগরীর নিরালা নাজিরঘাটের মো. নজরুল ইসলাম (৬১), বাগেরহাটের রায়পাড়া বারুইপাড়ার ফাতেমা বেগম (৭০) ও বাগেরহাট সদরের কুরসাইল এলাকার শংকর বিশ্বাস (২৬)।
বেসরকারি এ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন আরও ১১৪ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ১২ জন এবং সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২৫ জন।