র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকেই দেশের সার্বিক আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে সব ধরণের অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। র্যাব নিয়মিত জঙ্গী, সন্ত্রাসী, সংঘবদ্ধ অপরাধী, অস্ত্রধারী অপরাধী, মাদক, ছিনতাইকারীসহ কেসিনোর (জুয়ারী) বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে আসছে।
এরই ধারাবাহিকতায় গত ০১ জানুয়ারী ২০২০ খ্রিঃ তারিখ অনুমান ২১.১৫ ঘটিকার সময় র্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল ঢাকা জেলার কেরানীগঞ্জ মডেল থানাধীন আমিরাবাগ বাগাম গাছতলা এলাকায় একটি অভিযান পরিচালনা করে জুয়া আসর হতে জুয়া খেলা অবস্থায় ১০ জন জুয়ারিকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিদের নাম ১। মোঃ মারুফ (৪০), ২। মোঃ রকিবুল হাসান শাওন (৩৭), ৩। মোঃ নোমান আরাফাত রবিন (৩৬), ৪। মোঃ ফয়সাল হোসেন (৩৫), ৫। মোঃ দ্বীন ইসলাম (৩৫), ৬। মোঃ আঃ ওহাব (৫২), ৭। মোঃ রজব আলী (৩৫), ৮। মোঃ সুমন মিয়া (৩৬), ৯। মোঃ কামরুল ইসলাম (৩৯) এবং ১০। মোঃ মামুন হোসেন (৩৭) বলে জানা যায়। এসময় তাদের নিকট থেকে ১৫ টি মোবাইল ফোন, ০৩ (তিন) প্যাকেট ও খোলা অবস্থায় ২৬৬ পিস জুয়া খেলার কার্ড ও নগদ- ৩৬২২০/-(ছত্রিশ হাজার দুইশত বিশ) টাকা উদ্ধার করা হয়।
এছাড়া একই তারিখ অনুমান ২১.৫৫ ঘটিকার সময় র্যাব- ১০ এর অপর একটি আভিযানিক দল ঢাকার যাত্রাবাড়ী থানাধীন দক্ষিণ যাত্রাবাড়ী মীরহাজীরবাগ এলাকায় অপর একটি অভিযান পরিচালনা করে জুয়া আসর হতে জুয়া খেলা অবস্থায় ১১ জন জুয়ারিকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিদের আসামী ১। মোঃ আলী আহম্মদ (৩৮), ২। মোঃ সুজন (৪৮), ৩। মোঃ সালাউদ্দিন (৪৫), ৪। মোঃ জাহাঙ্গীর আলম (৪৩), ৫। মোঃ মনির হোসেন (৩৭), ৬। মোঃ সেলিম (৪৮), ৭। মোঃ আব্দুর রহিম (৩৮), ৮। মোঃ লাল মিয়া (৫০), ৯। মোঃ আব্দুল মালেক (৫০), ১০। মোঃ চুনু মিয়া (৪৮), ১১। মোঃ বাবুল মৃধা (৪৬) বলে জানা যায়। এসময় তাদের নিকট থেকে ১৪ টি মোবাইল ফোন, খোলা অবস্থায় ৩০০ পিস জুয়া খেলার কার্ড ও নগদ- ২০,৮২০/- (বিশ হাজার আটশত বিশ) টাকা উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিরা পেশাদার জুয়ারী। তারা দীর্ঘদিন যাবৎ একে অন্যের সাথে জুয়া খেলে সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে এবং জুয়া খেলার মাধ্যমে নিজেদের সর্বস্ব হারাচ্ছে।
গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা রুজু করা হয়েছে।