
মোঃ আরিফুল ইসলাম:
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে যশোর-১ (শার্শা) আসনে ‘ধানের শীষ’ প্রতীকের পক্ষে গণজোয়ার সৃষ্টির লক্ষ্যে আজ রবিবার (২৩ নভেম্বর, ২০২৫) এক বিশাল নির্বাচনী পথসভা ও লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। শার্শা থানার অন্তর্গত ৭নং কয়বা ইউনিয়নের ধান্যতারা বাজারে এই শ্রমিক সমাবেশ ও পথসভার আয়োজন করা হয়।
উক্ত কর্মসূচিতে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যশোর-১ (শার্শা) আসনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) মনোনীত প্রার্থী মফিকুল হাসান তৃপ্তি। দলের স্লোগান— #সবারআগেবাংলাদেশ— এই মূলমন্ত্রকে সামনে রেখে বিপুল সংখ্যক দলীয় কর্মী ও সাধারণ জনগণ এই সমাবেশে অংশগ্রহণ করেন।
মফিকুল হাসান তৃপ্তির মূল বক্তব্য
সমাবেশে উপস্থিত নেতাকর্মী ও সাধারণ জনগণের উদ্দেশে মফিকুল হাসান তৃপ্তি তাঁর বক্তব্যে সরকারের সমালোচনা করে এবং ‘ধানের শীষ’ প্রতীকের পক্ষে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বার্তা তুলে ধরেন:
১. গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা
> “আমরা আজ এক চরম দুঃসময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। জনগণের ভোটাধিকার আজ ভূলুণ্ঠিত। দেশের মানুষের শান্তি ও নিরাপত্তা নেই। আমাদের এই আন্দোলন শুধু ক্ষমতায় যাওয়ার আন্দোলন নয়, এটি আমাদের মা-মাটি ও মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনার আন্দোলন। দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে এবং তারুণ্যের প্রতীক তারেক রহমান-এর নেতৃত্বে এই দেশকে স্বৈরাচারমুক্ত করতে, আগামী নির্বাচনে আমাদের ‘ধানের শীষ’কে জয়ী করতে হবে।”
>
২. শ্রমিক ও মেহনতি মানুষের অধিকার
> “শ্রমিক ভাইয়েরা, আপনারা হলেন অর্থনীতির মেরুদণ্ড। কিন্তু এই সরকার আপনাদের ন্যায্য মজুরি থেকে বঞ্চিত করেছে, আপনাদের জীবনযাত্রার মান আজ তলানিতে। বিএনপি সব সময় শ্রমিক ও মেহনতি মানুষের অধিকার রক্ষায় কাজ করেছে। ‘ধানের শীষ’ নির্বাচিত হলে আপনাদের ন্যূনতম মজুরি নিশ্চিত করা হবে এবং আপনাদের সন্তানদের জন্য নিরাপদ ভবিষ্যৎ গড়ে তোলা হবে। আমরা আপনাদের জীবনমান উন্নয়ন ও ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর।”
>
৩. স্থানীয় উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি
> “যশোর-১ (শার্শা) আসনে গত কয়েক বছর ধরে যে উন্নয়ন স্থবিরতা চলছে, তা থেকে আমরা মুক্তি চাই। আমি নির্বাচিত হলে শার্শার সকল অবকাঠামোগত উন্নয়নে মনোনিবেশ করব। বিশেষ করে গ্রামীণ রাস্তাঘাট নির্মাণ, কৃষকদের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতকরণ এবং যুবকদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি আমার প্রধান অগ্রাধিকার হবে। কয়বা ইউনিয়নসহ শার্শার প্রতিটি গ্রামে সুশাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করাই আমার লক্ষ্য।”
>
৪. গণজোয়ার সৃষ্টির আহ্বান
> “আপনারা দেখছেন, আজকের এই জনসভায় মানুষের ঢল প্রমাণ করে, পরিবর্তনের জন্য জনগণ প্রস্তুত। আপনাদের এই স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণই হলো ‘ধানের শীষ’-এর পক্ষে গণজোয়ার। আসুন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান-এর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে, সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করি। আগামী ৩০ ডিসেম্বর (আনুমানিক নির্বাচনের তারিখ উল্লেখ করা যেতে পারে) আপনারা আপনাদের মূল্যবান ভোটটি ‘ধানের শীষ’ প্রতীকে দিয়ে এই গণজোয়ারকে বিজয়ে রূপান্তরিত করবেন। মনে রাখবেন, আপনাদের একটি ভোট এই দেশকে স্বৈরাচারের কবল থেকে মুক্ত করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে পারে। #সবারআগেবাংলাদেশ।”
>
সমাবেশ শেষে মফিকুল হাসান তৃপ্তি দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে ধান্যতারা বাজারের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে সাধারণ জনগণের মধ্যে লিফলেট বিতরণ করেন এবং তাদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করে ভোট প্রার্থনা করেন
