বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ ও সুপ্রিম কোর্টে জানাজা শেষে বনানীতে দাফন করা হবে সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল প্রবীণ আইনজীবী ব্যারিস্টার রফিক-উল হককে।
আদ-দ্বীন হাসপাতালের জনসংযোগ কর্মকর্তা তবিবুর রহমান আকাশ সংবাদমাধ্যমকে এ কথা জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, সকাল সাড়ে ১০টায় হাসপাতাল সংলগ্ন মসজিদে ব্যারিস্টার রফিকের জানাজার পর মরদেহ পল্টনের বাড়িতে নেওয়া হবে। সেখান থেকে মরদেহে নেওয়া হবে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে। বাদ জোহর সেখানে জানাজার পর মরদেহ নেওয়া হবে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে।
অ্যাটর্নি জেনারেল ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ এম আমিন উদ্দিন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানিয়েছেন, বেলা ২টায় সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি প্রাঙ্গণে রফিক-উল হকের জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে জানাজার পর বিকেলে ব্যারিস্টার রফিক-উল হককে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হবে বলে জানান আদ-দ্বীন হাসপাতালের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকাশ।
রাজধানীর মগবাজারে আদ-দ্বীন হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় শনিবার সকালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ব্যারিস্টার রফিক-উল হক। তিনি এই হাসপাতালের চেয়ারম্যান ছিলেন।
অসুস্থবোধ করায় গত ১৫ অক্টোবর ৮৫ বছর বয়সী রফিক-উল হককে এ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ডা. রিচমন্ড রোল্যান্ড গোমেজের তত্ত্বাবধানে তার চিকিৎসা চলছিল।
ব্যারিস্টার রফিক-উল হকের ঘনিষ্ঠজনরা জানান, ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে তার বাম পায়ে অস্ত্রোপচার হয়। এরপর থেকে তার স্বাভাবিক হাঁটাচলা ব্যাহত হওয়ায় হুইলচেয়ারে করে চলাফেরা করেন। বার্ধক্য ও শারীরিক অসুস্থতার কারণে কয়েক বছর ধরেই সুপ্রিম কোর্টে অনিয়মিত তিনি।
রফিক-উল হকের জন্ম ১৯৩৫ সালে। ১৯৬২ সালে যুক্তরাজ্য থেকে বার অ্যাট ল সম্পন্ন করে ১৯৬৫ সালে কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী হিসেবে এবং ১৯৭৩ সালে আপিল বিভাগে আইনজীবী হিসেবে আইন পেশা শুরু করেন তিনি।
গত সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জমানায় দুই নেত্রী শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়া যখন কারাগারে তখন তাদের জন্য অকুতোভয়ে আইনি লড়াই করেন।
১৯৯০ সালের ৭ এপ্রিল থেকে ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন রফিক-উল হক।
রফিক-উল হকের স্ত্রী ফরিদা হক বেশ কয়েক বছর আগে মারা যান। তার ছেলে ফাহিম-উল হকও আইনজীবী।
সম্পাদক ও প্রকাশক- মেহেদী হাসান
Copyright © 2024 Livenews24. All rights reserved.