দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা ওমর আলীর ওপর হামলার মামলার প্রধান আসামি আসাদুল ইসলামকে ৭ দিনের রিমান্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত।
রবিবার বিকেল সাড়ে ৪টায় দিনাজপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালত-৭ এ মনিরুজ্জামান সরকারের আদালতে হাজির করা হয় আসাদুলকে।
এর আগে শনিবার সন্ধ্যায় র্যাব আসাদুলকে ঘোড়াঘাট থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। পরে শনিবার রাত সাড়ে ৩টায় ঘোড়াঘাট থানা পুলিশ দিনাজপুর গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) কাছে আসাদুল ইসলামকে হস্তান্তর করে।
দিনাজপুর ডিবি পুলিশের ইমাম জাফর জানান, আমরা আসাদুলকে অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বিচারকের কাছে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেছিলাম। বিজ্ঞ বিচারক সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। মামলাটি আমরা গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, এটি চুরির মামলায় রিমান্ড না। যাবতীয় বিষয়গুলো জানার জন্য রিমান্ড নেয়া হয়েছে।
এর আগে শনিবার এই মামলার অপর আসামি রং মিস্ত্রি নবীরুল ইসলাম ও সান্টু রায়কেও ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট শিশির কুমার বসু।
রবিবার সকালে নবীরুল ও সান্টু রায়ের রিমান্ড শুরু হয়।
বুধবার গভীর রাতে ইউএনওর সরকারি বাসভবনে বাথরুমের ভেন্টিলেটর দিয়ে বাসায় ঢুকে ইউএনও ওয়াহিদা ও তার বাবার ওপর হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা।
ইউএনওর মাথায় গুরুতর জখম এবং তার বাবাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করা হয়।
পুলিশ তাদের উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরে ইউএনওকে প্রথমে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (রমেক) নিয়ে ভর্তি করা হয়। এরপর তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য হেলিকপ্টারে করে তাকে ঢাকায় নেওয়া হয়।
তিনি বর্তমানে রাজধানীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
সম্পাদক ও প্রকাশক- মেহেদী হাসান
Copyright © 2025 Livenews24. All rights reserved.