স্পিডবোট নিবন্ধনের জন্য ‘নিবন্ধন সপ্তাহ’ পালনের নির্দেশ দিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
বৃহস্পতিবার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে নৌপরিবহন অধিদপ্তরের প্রশাসনিক, আর্থিক ও উন্নয়নমূলক কার্যক্রম সংক্রান্ত বৈঠকে তিনি এ নির্দেশ দেন।
নৌ প্রতিমন্ত্রী বলেন, নিবন্ধন ছাড়া স্পিডবোট চলতে দেয়া যাবে না। এ বিষয়ে সরকার শক্ত অবস্থানে রয়েছে। স্পিডবোট নিবন্ধনের লক্ষ্যে তিনি নৌপরিবহন অধিদপ্তরকে ‘নিবন্ধন সপ্তাহ’ পালনের নির্দেশ দিয়েছেন।
স্পিডবোট নিবন্ধনের বিষয়ে গুরুত্বারোপ করে প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়িসহ বিভিন্ন রুটে অসংখ্য স্পিডবোট ঝুঁকিপূর্ণভাবে যাত্রী পারাপার করে। তারা খুবই বেপরোয়া। এদের নিবন্ধন ও নিয়মকানুনের মধ্যে আনতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী নৌপরিবহন অধিদপ্তরের সেবার মানে আরও গতিশীলতা আনয়নে জনবল নিয়োগে বিশেষ করে সার্ভেয়ার নিয়োগ কার্যক্রম দ্রুত করার নির্দেশ দেন।
তিনি নৌদুর্ঘটনা হ্রাসে নৌযানে ‘রিভার্সিবল গিয়ার’ সংযোজন কার্যক্রম অব্যাহত রাখারও নির্দেশ দেন।
জানা গেছে, বৈঠকে জানানো হয় আরিচা-দৌলতদিয়া ফেরি ঘাটে ২৫ ও সদরঘাটে ৫টি স্পিডবোটের নিবন্ধন নেওয়া আছে। আর মাওয়া ফেরি ঘাটে ৪ শতাধিক ফেরি চললেও সেখানে নিবন্ধন নেওয়া হয়নি। এ ছাড়া চট্টগ্রাম-সন্দ্বীপ, কক্সবাজার-মহেশখালী, চেয়ারম্যানঘাট- হাতিয়াসহ বিভিন্ন রুটে স্পিডবোট চলাচল করে থাকে। এগুলো এখনো নিবন্ধনের আওতায় আনা হবে।
বৈঠকে জানানো হয় যে, বাংলাদেশের নৌযানের প্রকৃত সংখ্যা নির্ণয়ের জন্য নৌশুমারি সংক্রান্ত একটি প্রকল্প অনুমোদনের লক্ষ্যে পরিকল্পনা কমিশনে শিগগিরই পাঠানো হবে।
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরী, নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমডোর আবু জাফর মো. জালালউদ্দিন, সরকারি শিপিং অফিসের শিপিং মাস্টার জাকির হোসেন চৌধুরী এবং নৌবাণিজ্য দপ্তরের প্রিন্সিপাল অফিসার ক্যাপ্টেন গিয়াসউদ্দিন আহমেদ।
প্রতিমন্ত্রী পরে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষ থেকে অনলাইনে (ভার্চুয়াল) বাংলাদেশ মেরিন একাডেমি এবং ন্যাশনাল মেরিটাইম ইনস্টিটিউটের প্রশাসনিক, আর্থিক ও উন্নয়নমূলক কার্যক্রম সংক্রান্ত বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।
সম্পাদক ও প্রকাশক- মেহেদী হাসান
Copyright © 2024 Livenews24. All rights reserved.