স্টাফ রিপোর্টার।।
রংপুর রিপোর্টাস ক্লাবের সদস্য, বাংলা টিভির রংপুর প্রতিনিধি রাফাত হোসেন বাঁধন, তার পিতা সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আফজাল হোসেনের ওপর সন্ত্রাসী হামলা, দোকান ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের প্রতিবাদ এবং জড়িত সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার এবং সাংবাদিকদের নিরাপত্বা নিশ্চিতের দাবিতে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারকে স্মারকলিপি দিয়েছে রংপুরের সাংবাদিক সমাজ।
রবিবার (৯ আগষ্ট) দুপুরে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোহাঃ আব্দুল আলীম মাহমুদকে স্বারকলিপি দেয়া হয়। আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে জড়িত সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি জানান।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম রংপুর জেলা কমিটির সভাপতি ও মোহনা টিভির রংপুর বিভাগীয় প্রতিনিধি শফিউল করিম শফিক, সাধারণ সম্পাদক ও নিউজ টুয়েন্টিফোর টেলিভিশনের রংপুর ব্যুরো প্রধান রেজাউল করিম মানিক, রংপুর সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ও যমুনা টেলিভিশনের স্টাফ রিপোর্টার সরকার মাজহারুল মান্নান, বাংলাদেশ ফটো জার্নালিষ্ট এসোসিয়েশন রংপুরের সাধারণ সম্পাদক মমিনুল ইসলাম রিপন, রংপুর সদর উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক খন্দকার মিলন আল মামুনসহ রংপুরের বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকবৃন্দ।
স্বারকলিপিতে বলা হয়, শনিবার (৮ আগষ্ট) রাত পৌনে ৮ টার দিকে রংপুর মহানগরীর পীরজাবাদ জুগিপাড়া ৩ নং চেক পোস্ট এলাকায় অবস্থিত নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বাঁধন ট্রেডার্সের বাকিতে ক্রয়কৃত মালামালের পাওনা টাকা চাওয়ায় বাংলা টিভির রংপুর প্রতিনিধি, রিপোর্টার্স ক্লাবের সদস্য রাফাত হোসেন বাঁধন এবং তার পিতা সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আফজাল হোসেনের ওপর বর্বোরোচিত সন্ত্রাসী হামলা হয়।
এসময় বাঁধন ট্রেডার্সে হামলা, ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করা হয়। স্থানীয় ১৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফজলে এলাহী ফুলু, তার পুত্র শাওন ও সজলসহ প্রায় ৩০/৩৫ জন সশস্ত্র সন্ত্রাসী তাদের ওপর হামলা করে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে তাদেরকে গুরুতর জখম করে।
হামলার পর যথাসময়ে তাদের হাসপাতালেও আনতে দেয়নি কাউন্সিলর ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী। অনেক সময় পর তাদেরকে পুলিশের সহায়তায় উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
তারা যখন হাসাপাতলে চিকিৎসাধীন তখন ওই সন্ত্রাসীরা দোকানে আগুন ধরিয়ে দেয়। ঘটনার সময় বাঁধন ট্রেডার্সের নগদ ২ লাখ টাকা, গ্যাস সিল্ডিন্ডার, ভাইবার মেশিসনহ প্রায় ১০ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায় ওই সন্ত্রাসীরা।
শুধু তাই নয়, আবারও পাওনা টাকা চাইলে সন্ত্রাসীরা বাঁধনকে স্বপরিবারে হত্যার হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। তারা বলেন, একজন জনপ্রতিনিধি একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে লাখ লাখ টাকার মালামাল বাকিতে ক্রয় করবেন।
সেই পাওনা টাকা চাইতে গেলে সাংবাদিক এবং সাংবাদিকের পিতার ওপর সশস্ত্র হামলা করবেন, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাংচুর করবেন, অগ্নিসংযোগ করবেন, লুটপাট করবেন এটা কোনভাবেই বরদাশত যোগ্য নয়। অবিলম্বে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি জানান। নইলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুশিয়ারিও দেয়া হয়েছে।