মাদারীপুর প্রতিনিধি।।
মাদারীপুরের ৪টি উপজেলার বিভিন্ন নদ-নদীর পানি রোববার থেকে কমতে শুরু করেছে। এর ফলে জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি উন্নতির দিকে যাচ্ছে। জেলার পদ্মা নদী ও আড়িয়াল খাঁ নদীর দুপাশের অনেক গ্রামের নিচু স্থানের ঘরবাড়ি এখনও পানিতে ভরপুর। সরকারের পক্ষ থেকে বন্যা ও নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রাস্তেদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ অব্যহত রয়েছে।
জানা গেছে, নদীর পানি কমতে থাকায় জেলার বন্যা পরিস্থিতি উন্নতির দিকে হলেও এখনও নিম্নাঞ্চলের অনেক এলাকার ঘরবাড়িতে পানি উঠে আছে। বিশেষ করে বন্যার পানিতে শিবচর উপজেলার পদ্মা নদীর বেষ্টিত চর ও সংলগ্ন ইউনিয়নগুলো এবং সদর উপজেলা, রাজৈর ও কালকিনি উপজেলার নিন্মাঞ্চল এখনও প্লাবিত আছে। ঘরবাড়ি পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় নিম্ন আয়ের মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েছে। জেলায়র প্রায় ৪০টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে। ইতিমধ্যেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বসত বাড়ি ফসলি জমি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে গেছে। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কৃষি ফসলের। অন্যদিকে নদীর পানি কিছুটা কমার সাথে সাথে ভাঙ্গনের তীব্রতা বৃদ্ধি পেয়েছে। রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ এবং সরকারের পক্ষ থেকে কেউ আবার ব্যক্তিগত ভাবে বন্যা ও নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রাস্তেদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করছে।
মাদারীপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী পার্থ প্রতীম সাহা বলেন, মাদারীপুর জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি এখন উন্নতির দিকে। প্রতিদিনই বিভিন্ন নদ-নদীর পানি কমতেছে। আড়িয়াল খাঁ নদীর পানি গত ২৪ ঘন্টায় ৭ সে.মি কমেছে। বিপদ সীমার ১৬ সে.মি নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পদ্মা নদীর পানি মাওয়া পয়েন্টে গত ২৪ ঘন্টায় ৮ সে.মি কমেছে। বিপদ সীমার ১২ সে.মি ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার পদ্মা ও আড়িয়াল খা নদী বিভিন্ন স্থানে ভাঙতেছে। ভাঙন প্রতিরোধে আমরা কিছু কিছু গুরুত্বপূর্ন স্থানে বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফালাচ্ছি।
সম্পাদক ও প্রকাশক- মেহেদী হাসান
Copyright © 2025 Livenews24. All rights reserved.