প্রতিনিধি সাভার:
একদিকে করোনা, অন্যদিকে ভয়াবহ বন্যায় আতঙ্কিত দেশের মানুষ। বন্যায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন সাভারের ভাকুর্তা, কাউন্দিয়া, তেঁতুলঝোড়া, পাথালিয়া, সাভার সদর, শিমুলিয়া ও ধামসোনা ইউনিয়নের শতাধিক গ্রাম বন্যাকবলিত । তুরাগ, ধলেশ্বরী ও বংশী নদী দুটির পানি বৃদ্ধির কারণে তলিয়ে গেছে এসব গ্রামগুলো। প্রায় দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে পানিবন্দী হয়ে আছে এসব এলাকার লোকজন।
পানিতে অধিকাংশ এলাকার রাস্তাঘাট, বাজার, মাছের হ্যাচারী, পুকুর, কৃষিজমি ও ঘরবাড়ি ডুবে গেছে। শত শত পরিবার হয়েছে গৃহহীন। গৃহপালিত পশুপাখি ও বাড়ির তৈজসপত্র নিয়ে আশ্রয় নিচ্ছে নিরাপদ স্থানে। এতে করে সবচেয়ে বেশি সমস্যার সম্মুখিন হচ্ছে কৃষক ও নিম্ন আয়ের মানুষ।
বানভাসিরা জানায়, এরূপ পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বড় সমস্যা হয়ে দাড়িয়েছে নিরাপদ পানির সংকট । পানিতে অধিকাংশ টিউবওয়েল ও নিরাপদ পানির উৎসসমূহ ডুবে যাওয়ায় পানির জন্য বেগ পেতে হচ্ছে তাদেরকে। নৌকা এবং কলাগাছের তৈরী ভেলায় করে দূর দূরান্ত থেকে পরিবারের প্রয়োজনীয় পানির যোগান দিতে হচ্ছে।
অনেকে আবার কষ্ট করে পানি ভেঙ্গে এ বাড়ি ও বাড়ি যাচ্ছে নিরাপদ পানির জন্য। খাওয়া, গোসল, অজুসহ নানা কাজে পানি নিত্যদিন ব্যাবহৃত হয়। বন্যার পানি ব্যাবহারেও থাকছে রোগ বালাই এর ভয়। এসব কারনে নিরাপদ পানির অভাব তাদের দৈনন্দিন জীবনকে দুর্বিষহ করে তোলেছে।
এ ব্যাপারে জনপ্রতিনিধিদের সাথে কথা বললে তারা জানান, যথাসম্ভব ত্রাণ ও সহযোগিতা পৌছে দেয়া হচ্ছে।সাভার উপজেলার আশুলিয়া থানাধীন ১ নং শিমুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এ বি এম আজহারুল ইসলাম সুরুজ জানান, বন্যায় দুর্গতদের সরকারী ত্রাণ সহায়তার জন্য চাহিদাপত্র জমা দেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে গত ৬ আগস্ট শিমুলিয়া ইউনিয়নের ৯ টি ওয়ার্ডে ২০০ পরিবারের মধ্যে চাল, ডাল, চিরা, নুডলস সহ বিভিন্ন শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হলে সরকারের পাশাপাশি সকলকে বন্যার্তদের পাশে দাড়ানোর আহ্বান জানান স্থানীয় সচেতন মহল।
সম্পাদক ও প্রকাশক- মেহেদী হাসান
Copyright © 2024 Livenews24. All rights reserved.