
আমিরুল ইসলাম কবির,গাইবান্ধা।।
পলাশবাড়ী এম.এ সামাদ কারিগরি ও বিজ্ঞান কলেজের অধ্যক্ষ শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচন প্রক্রিয়ায় অনিয়ম ও স্বচ্ছতার অভাব বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
অভিযোগে প্রকাশ,এম.এ সামাদ কারিগরি ও বিজ্ঞান কলেজের অধ্যক্ষ মো. ছিদ্দিকুল ইসলাম ওই কলেজের শিক্ষকমন্ডলীদের অবহিত না করে এবং কোনো সভা আহবান না করে তার পছন্দের ৩ (তিন) জন শিক্ষককে শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচন করে ম্যানেজিং কমিটি গঠন করেছেন।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিচালনার ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা,গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া,ন্যায়সংগত নির্বাচন এবং শিক্ষকমণ্ডলীর মতামত নেয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু অতীব দুঃখ ও পরিতাপের বিষয় শিক্ষক প্রতিনিধির মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে নির্বাচন করার ক্ষেত্রে শিক্ষকদের না জানানো, কোনো সভা আহবান না করা,কিংবা ভোট বা সম্মতি ছাড়া মনোনয়ন দেয়ার ঘটনায় ওই কলেজের শিক্ষকদের মাঝে গভীর ক্ষোভ,হতাশা ও অবিশ্বাসের সৃষ্টি হয়েছে।
আর এ ধরনের একতরফা সিদ্ধান্ত শিক্ষক সমাজের অধিকার,অংশগ্রহণমূলক শাসনব্যবস্থা এবং প্রতিষ্ঠানের নীতিমালা সবকিছুর পরিপন্থী। একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা কখনোই স্বেচ্ছাচারিতার উপর নির্ভরশীল হতে পারে না।
আর এম.এ সামাদ কারিগরি ও বিজ্ঞান কলেজের ধুরন্ধর অধ্যক্ষ মো. ছিদ্দিকুল ইসলামের এসব নানাবিধ অনিয়মের বিষয়গুলো তুলে ধরে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
অভিযোগে আরো উল্লেখ করা হয়েছে যে,এসব বিষয়ে প্রয়োজনীয় তদন্ত,স্বচ্ছ ও নিয়মতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচন,প্রয়োজনে পুনরায় শিক্ষক সভা আহবান করে গণতান্ত্রিক উপায়ে শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচন চেয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষকদের পক্ষে ও শিক্ষক প্রতিনিধি দাবিদার হিসেবে ওই কলেজের সাচিবিক বিদ্যা বিষয়ের প্রভাষক মো. রুহুল আমিন মন্ডল ইতোমধ্যেই পলাশবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
এব্যাপারে ওই কলেজের অভিযুক্ত অধ্যক্ষ মুঠোফোনে তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগসনূহ সত্য নয় এবং নিয়মমাফিক শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছেন বলে এ প্রতিবেদককে জানান।।
