

মোঃ মশিউর রহমান বিপুল,কুড়িগ্রাম।।
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে প্রতিবেশীর বাড়ির সেপটিক ট্যাংকের ভেতর থেকে ৮ বছরের এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।পরিবারের অভিযোগ শিশুটিকে বলৎকার করে সেপটিক ট্যাংকে রেখে মারা হয়েছে।এঘটনায় জড়িত ৪ জনকে আটক করেছে নাগেশ্বরী থানা পুলিশ।
আটককৃতরা হলেন, অভিযুক্ত যুবক মোমিনুল ইসলামের মা মহসেনা বেগম ও বোন ফাহিমা খাতুন এবং মমিনুলের পরিবারকে প্রশ্রয় দিয়ে পালানোর সহযোগিতা করায় প্রতিবেশী নজরুল ইসলাম ও তার স্ত্রী মঞ্জু বেগম।
পুলিশ ও পরিবারের তথ্য মতে,নাগেশ্বরী উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের ছিট মালিয়ানি এলাকায় মোঃ ফরিদুল ইসলামের ছেলে মমিনুল ইসলাম একই এলাকার মশিউর রহমান ও মন্জু দম্পতির ছোট ছেলে মুরসালিন মিয়া (০৮) কে মোবাইলে ভিডিও দেখার কথা বলে মমিনুল নিজের রুমে নিয়ে বলৎকার করে মেরে ফেলে পালিয়ে যায়।পরে মুরসালিনের পরিবার মোরসালিনের খোঁজ নিতে মমিনুলের বাড়িতে গেলে মমিনুলের মা বোন মোরসালিনের খবর জানে না বলে জানিয়ে দেয়।এর পর দিন ওই বাড়ির ভিতরে সেপ্টিক ট্যাঙ্কে থেকে মোরসালিনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনা ছড়িয়ে পড়লে উত্তেজিত জনতা অভিযুক্তের বাড়িঘরে আগুন দেয়।ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নেভালেও ততক্ষণে সবকিছু পুড়ে ভস্মিভুত হয়ে যায়। এদিকে মুল অভিযুক্ত মমিনুল ইসলাম পলাতক থাকায় তাকে আটক করতে পারেনি পুলিশ। এছাড়াও মমিনুলের বাবা ফরিদ উদ্দিন, ভায়রা আব্দুল্লাহ, শ্যালক মাসুম মিয়াও পলাতক রয়েছে।
সময় মমিনুলের মা, বাবা, বোন, নানা, নানি নজরুলের বাড়ি থেকে পালানোর চেষ্টা করেন। এ সময় স্থানীয়দের মাঝে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি হলে মমিনুলের নিজ বাড়ি ও তার নানার বাড়িতে ভাঙচুর করে আগুন দেয় বিক্ষুব্ধ জনতা। পরে পুলিশ মমিনুলের পরিবারের লোকজনকে প্রশ্রয় দেয়ায় নজরুল ইসলাম ও তার স্ত্রী মনজু বেগম এবং মমিনুলের মা মহসেনা বেগম ও তার বোন ফাহিমা খাতুনকে (১৮) আটক করে থানায় নিয়ে গেলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। তবে ততক্ষনে মমিনুলের বাড়ি ও নানার বাড়িতে আগুনে লাগালে ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নেভালেও ততক্ষণে সবকিছু পুড়ে ভস্মিভ‚ত হয়ে যায়। এদিকে মুল অভিযুক্ত মমিনুল ইসলাম পলাতক থাকায় তাকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।
নাগেশ্বরী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) রেজাউল করিম রেজা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে।ইতিমধ্যে এ ঘটনায় ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।বাকিদের গ্রেফতার করতে পুলিশের অভিযান অব্যহত রয়েছে।