আমিরুল ইসলাম কবির,গাইবান্ধা।।
প্রাচীনকাল থেকেই গ্রাম বাংলায় নবান্ন উৎসব পালন হয়ে আসছে। এসময় মেয়েজামাই আর আত্মীয়দের নিয়ে নতুন চালের পিঠা-পায়েস ও পোলাও রান্না করে ধুমধামে খাওয়া হয়। কিন্তু কালের আবর্তে সেই প্রথা যেন ধীরে ধীরে হারিয়ে যেতে বসেছে।
এই ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে গাইবান্ধার পলাশবাড়ী পৌর শহরের হোপ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের শিক্ষার্থী ও শিশুদের নিয়ে আয়োজন করে নবান্নের পিঠা উৎসব। উৎসবে পিঠা পুলিতে মাতোয়ারা হয়ে ওঠে শতশত শিশু।
শনিবার ৩০শে নভেম্বর সকালে বিদ্যালয়ের পরিচালকের আয়োজনে এই উৎসব পালন করা হয়।
উৎসবমুখর পরিবেশে সাড়ে সাত শতাধিক শিক্ষার্থী,অভিভাবক এবং শিক্ষকদের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের বাহারি পিঠা,পায়েশ,খাওয়ার ধুম পড়ে। গ্রাম বাংলার চিরাচরিত ঐতিহ্য নবান্ন উৎসব বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে উৎসবমুখর পরিবেশে সৃষ্টি হয়।
উৎসব নিয়ে অভিভাবক আনজুয়ারা বেগম বলেন,শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ব্যতিক্রমধর্মী এমন আয়োজন বেশ প্রশংসনীয় এবং গর্বের বিষয়। আমরা অনেক আনন্দিত এবং উচ্ছ্বসিত যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এসেও বাচ্চাদের সঙ্গে নবান্ন উৎসব পালন করতে পেরেছি।
হোপ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের প্রধান শিক্ষক জামিউল ইসলাম জাহিদ জানান,শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার পাশাপাশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এমন আয়োজন আমাদের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি বহন করে। লেখাপড়ার পাশাপাশি সাংস্কৃতিক বিষয়গুলো শিক্ষার্থীদের মানসিক বিকাশে সহায়তা করে।
স্কুলের পরিচালক মতিয়ার রহমান লাভলু বলেন,হোপ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল শুরু থেকেই শিক্ষার্থীদের সুশিক্ষায় শিক্ষিত করতে প্রতি বছর নিত্যনতুন ব্যতিক্রমধর্মী আয়োজন করে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নবান্ন উৎসব পালন করছি। আর এটা আমাদের বড় অর্জন।
তিনি আরও বলেন,শিক্ষার্থীদের পাঠাদানের পাশাপাশি আমাদের প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত পবিত্র কোরআন শিক্ষা দেয়া হয় এবং নতুন চল্লিশ জন শিক্ষার্থী কোরআন সবক নেয়ায় উক্ত শিক্ষার্থীদের মাঝে পবিত্র কোরআন শরীফ তুলে দেয়া হয়। আগামীতেও এই ধারা অব্যাহত থাকবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।।
সম্পাদক ও প্রকাশক- মেহেদী হাসান
Copyright © 2025 Livenews24. All rights reserved.