ইমদাদুল হক মিলন, মাদারীপুর.
করোনা ভাইরাসের প্রভাবে ও সরকারের নির্দেশনা মানতে মাদারীপুর শহরের জনপথ জনশূন্য হয়েছে পড়ছে। বুধবার (২৫ মার্চ) বিকেলে শহরের সুমল হোটেল, নিরাময় হাসপাতাল, কলেজ রোড, কালীবাড়ী, পৌরসভা সড়কে এসব চিত্র দেখা যায়। এসব সড়কে কোন সাধারণ জনগণকে চলাচলকে করতে দেখা যায়নি। দিনশেষে কিছু তরুণ ও কিশোরদের মাঠে খেলাধুলা করতেও দেখা গেছে।
এছাড়াও শহরের পুরানবাজার, লেকেরপাড়, ডিসিব্রীজ, পুরান বাসষ্ট্যান্ডসহ বিভিন্ন স্থানে একইচিত্র দেখা যায়। এদিকে করোনা ভাইরাস সংক্রমন রোধে জেলা প্রশাসন গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে এবং স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করার জন্য স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ প্রক্রিয়া চলছে। এছাড়াও মাদারীপুর পৌরসভাসহ বিভিন্ন সংগঠন করোনা ভাইরাস রোধে ব্যাপক কাজ করছে বলে জানা গেছে। গণ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে খাদ্য সামগ্রী, ঔষধ, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির দোকানপাট, কাঁচাবাজার, হাসপাতাল বাদে সব বন্ধ করেছে জেলা প্রশাসন। গণবিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয় যে, জরুরী প্রয়োজন ব্যতীত কোন ভাবেই বাড়ীর বাইরে না আসেন। করোনা ভাইরাস আতঙ্ক ও সরকারি নিদের্শনায় রাজৈর উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারের বেশির ভাগ দোকান মঙ্গলবার থেকে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। টেকেরহাট বন্দর বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কেরামত ফকির জানান ‘নিত্যপ্রয়োজনীয় দোকান ছাড়া অন্যান্য দোকানপাট বন্ধ রাখার জন্য মাইকিং করেছি। সকল দোকানপাট বন্ধ হয়ে যাবে। কালকিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে দ্বিতীয় দিনের মত কালকিনি উপজেলার প্রায় সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। শুধু নিত্যপ্রয়োজনীয় ও ঔষুধের দোকান খোলা রয়েছে। আমরা মাঠে তদারকি করছি। এছাড়াও করোনাভাইরাস সংক্রমন এড়াতে মাদারীপুরের সঙ্গে গৌরনদীর সকল সীমান্তবর্তী সংযোগ সড়ক সাময়িক বন্ধ করে দেয়া হয়েছে তবে ঢাকা বরিশাল মহাসড়ক খোলা আছে। শিবচর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: আসাদুজ্জামান জানান, চীফ হুইপের নির্দেশে দ্বিতীয় দিনের মত মঙ্গলবারও অবরুদ্ধকৃত সকল এলাকায় খাদ্য সামগ্রী ঘরে ঘরে পৌছে দিয়েছি। বিদেশ ফেরত প্রবাসীরা যেহেতু হোম কোয়ারেন্টেইনে তাদের এবং সমাজের নিরাপত্তার জন্য পুলিশিং পাহারার ব্যবস্থা করেছি। সে কারণে তারা কেনাকাটা করতে বাহিরে যেতে পারছে না। এর থেকেই আমরা হোম কোয়ারেন্টেইনে থাকা মানুষের কাছ থেকে নিরাপদ দূরত্বে থেকে আমরা খাবার পৌঁেছ দিচ্ছি। মাদারীপুর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোহাম্মদ বদরুল আলম মোল্লা বলেন, ‘করোনা ভাইরাসের ঝুঁকির মধ্যে মাদারীপুর জেলা অন্যতম। এই ভাইরাস প্রতিরোধ করার জন্য আমরা মঙ্গলবার বিকেল থেকে শহরের সকল মার্কেট ও রাস্তা ঘুরে সব দোকান বন্ধ করে দিয়েছি। শহরের পাশাপাশি গ্রামের হাট-বাজারের দোকানগুলোও পুলিশ গিয়ে বন্ধ করে দিয়েছে। শুধু ঔষধের দোকান, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দোকান, কাঁচাবাজারের দোকান খোলা থাকবে। জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুল ইসলাম বলেন, দেশে এখন করোনা ভাইরাসের দুর্যোগ চলছে। মাদারীপুরের জেলা প্রশাসনকে সহায়তা করার জন্য সেনাবাহিনী এসেছে। তাদের সাথে বিকেলে আমাদের মতবিনিময় হয়েছে। করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে আমরা যেভাবে মাঠ পর্যায়ে কাজ করছি সে কাজেই সেনাবাহিনী সহায়তা করবে।
সম্পাদক ও প্রকাশক- মেহেদী হাসান
Copyright © 2024 Livenews24. All rights reserved.