আমিরুল ইসলাম কবির, গাইবান্ধা।ঢা কা~রংপুর মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত করণের লক্ষ্যে গাইবান্ধার পলাশবাড়ী পৌর শহরের প্রাণকেন্দ্র নুনিয়াগাড়ী মৌজার অধিগ্রহণকৃত জমি, স্থাপনা ও অবকাঠামোর টাকা দীর্ঘদিনেও না পেয়ে গত প্রায় সাড়ে ৩ মাস আগে অর্থাৎ (৩১ মার্চ) দুপুরে চারমাথা মোড়ে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করলেও কোনো ফল পাচ্ছে না ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাবাসী।
সে সময় ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিকগন বলেন,যথারীতি নিয়মমাফিক আমাদের জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে।
আমরাও জাতীয় স্বার্থকে সম্মান জানিয়ে নিজ খরচে আমাদের স্থাপনা সরিয়ে নিয়েছি। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট শাখায় টাকার জন্য ঘুরে কোনো ফল মিলছে না। এছাড়াও আমাদের এই দেই দিচ্ছি বলে নানাভাবে হয়রানি করা হচ্ছে যা কখনোই কাম্য নয়। তাছাড়া ওইসব কর্মকর্তা কর্মচারীদের ঘুষ বাণিজ্য সবার মাঝে চাউর হয়েছে যা বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা'র জন্য খুবই দুঃখজনক। তাদের এসব অনৈতিক চাহিদা ঘুষ বাণিজ্য থেকে ফেরাতে জেলা প্রশাসক মহোদয়ের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগীরা সহ সচেতন অভিজ্ঞমহল।
ভুক্তভোগীরা আরও বলেন, অনেক জমি মালিকের সবটুকু জমিসহ স্থাপনা অধিগ্রহণ করা হয়েছে। আজ তাদের মাথা গোঁজার ঠাঁই নেই। তারা মানবেতর জীবন যাপন করছেন। এমন পরিস্থিতিতে ক্ষতিগ্রস্ত ভুক্তভোগীরা কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারি দিলে জেলা প্রশাসক মহোদয় কাজী নাহিদ রসুল দু'মাসের মধ্যেই ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিকগনকে সমুদয় টাকা পেয়ে যাবেন বলে আশ্বস্ত করলে আন্দোলনকারীরা আন্দোলন থেকে সরে আসে। কিন্তু অতীব দুঃখের বিষয় জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নির্ধারীত সময় পাড় হয়ে আজ প্রায় সাড়ে তিন মাস পার হতে চলেছে অথচ কোনো প্রকার টাকা দেয়ার অগ্রগতি দৃশ্যমান না হওয়ায় ক্ষতিগ্রস্তরা হতাশায় দিনযাপন করছেন।
এমতাবস্থায় জেলা প্রশাসক মহোদয়ের আন্তরিক সুদৃষ্টি কামনা করছেন অসহায় ক্ষতিগ্রস্ত ভুক্তভোগী জমির মালিকগণ ।।
সম্পাদক ও প্রকাশক- মেহেদী হাসান
Copyright © 2025 Livenews24. All rights reserved.