মাদারীপুর প্রতিনিধি।।
মাদারীপুরে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় ইলেকট্রনিক ডিভাইস/মোবাইল এর মাধ্যমে প্রশ্নপত্র ফাঁস
ও OMR এর জবাব প্রদানকারী চক্রের সক্রিয় সদস্য রনি বিশ্বাস (২২) নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। এ বিষয় আজ পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন মাদারীপুর পুলিশ সুপার মো. মাসুদ আলম। আটককৃত রনি বিশ্বাস মাদারীপুর জেলার রাজৈর উপজেলার নাগরী গ্রামের হৃদয় কমলের ছেলে।
মাদারীপুর পুলিশ সুপার মোঃ মাসুদ আলাম জানান, জেলা গোয়েন্দা শাখা, মাদারীপুর এর একটি আভিধানিক টিম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত ২৯ মার্চ তারিখ সকাল ১০টা হইতে ১১টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা ২০২৩ চলাকালীন মাদারীপুর জেলার মোট ১৬টি কেন্দ্রের মধ্যে মোট পাঁচটি কেন্দ্রের ৬ জন পরীক্ষার্থী ইলেকট্রনিক ডিভাইস মোবাইল অবৈধভাবে ব্যবহার করা অবস্থায় পরীক্ষা কেন্দ্রের কক্ষ পরিদর্শক ও বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট গনের উপস্থিতিতে উক্ত কেন্দ্র সমূহের আইন শৃংখলা ডিউটিতে নিয়োজিত পুলিশ অফিসার গন পরীক্ষার্থীদের দখল হইতে পরীক্ষার OMR এর উত্তর সম্বলিত মেসেজসহ আলামত হিসেবে করেন। অবৈধভাবে ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস মোবাইলে OMR এর উপর প্রেরণকারী অপরাধী চক্রের সম্পর্কে আসামীদেরকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় রাজৈর থানাধীন কদমবাড়ি ইউনিয়নের ফুলবাড়ি গ্রামের অসীম গাইন ও উজ্জল সরকার বিভিন্ন প্রার্থীর কাছ থেকে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার উত্তীর্ণ করাইয়া দিবে এই মর্মে প্রলোভন দেখাইয়া প্রলুব্ধ করার পাশাপাশি তাদের নিকট হইতে মৌখিক চুক্তির অগ্রিম নগদ টাকা গ্রহণ এবং অবশিষ্ট টাকার সিকিউরিটি হিসাবে ভয়-ভীতি প্রদর্শন করিয়া স্বাক্ষরিত নন জুডিসিয়াল স্ট্যাম্প, ব্লাংক চেক প্রার্থীদের ও তাদের পরিবারের থেকে প্রদান করতে বাধ্য করে। বর্ণিত ঘটনার বিষয়ে জেলা শিক্ষা অফিস মাদারীপুর বাদী হয়ে থানা একটি মামলা দায়ের করে। মাদারীপুর জেলার পুলিশ সুপারের দিক নির্দেশনায় মামলার তদন্তকারী অফিসার এসআই শরীফ আব্দুর রশীদ সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা সংক্রান্তে দুর্নীতিকারী চক্রের সক্রিয় সদস্য এবং OMR এর উত্তর যে মোধাইল এর মাধ্যমে বিভিন্ন পরীক্ষার্থীর নিকট এসএমএস এর মাধ্যমে প্রেরন করেছিল সে মোবাইল সহ (মোবাইল নং ০১৮--৪৮) অস্ত্র মামলার আসামী রনি বিশ্বাসকে রাজৈর উপজেলা হোসেনপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়। এর আগে পরিক্ষার দিন ৬ জন মহিলা পরিক্ষার্থী ও ২ জন পুরুষ পরিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করে জেলা হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
বর্তমানে এই মামলায় আজকেরসহ ৯ জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ সুপার আরও বলেন, প্রশ্নপত্র ফাঁসের সাথে যারাই জড়িত থাকবে তাদের সকলকে আইনের আওতায় আনা হবে এবং আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে।
LN24BD
সম্পাদক ও প্রকাশক- মেহেদী হাসান
Copyright © 2025 Livenews24. All rights reserved.