পাকিস্তানে জাতীয় ও প্রাদেশিক নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে। দেশটিতে ভোটের দিনই মোবাইল পরিষেবা সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সামলাতে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।
ভোটের আগের দিনই পাকিস্তানের বালুচিস্তানে পরপর দুইটি বিস্ফোরণ হয়েছে। মারা গেছেন ২৮ জন। করাচিতে গ্রেনেড আক্রমণে একজনের মৃত্যু হয়েছে। পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপ হওয়ায় সাময়িকভাবে মোবাইল পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে। খবর রয়টার্সের
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, সম্প্রতি সন্ত্রাসবাদীদের তৎপরতা বেড়ে যাওয়ায় মানুষের প্রাণহানি হচ্ছে। তাই নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ও বিপদের মোকাবিলা করতে এই ব্যবস্থা নেয়া জরুরি হয়ে পড়েছে।
ইমরান খানের দলের নেতা তৈমুর সেলিম খান ঝাগরা এক্সে এক পোস্টে বলেছেন, 'মোবাইল পরিষেবা বন্ধ করা খুবই লজ্জাজনক সিদ্ধান্ত। এই সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে এবং মোবাইল পরিষেবা অবিলম্বে চালু করতে হবে।'
সাবেক পিপিপি সেনেটর মুস্তাফা নওয়াজ খোখার বলেন, 'ভোটকেন্দ্রে রিগিং নিশ্চিত করতেই মোবাইল পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে।'
ইসলামাবাদ পুলিশ জানিয়েছে, ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা অনেকটাই বাড়ানো হয়েছে। নিরাপত্তা কর্মীদের সতর্ক করা হয়েছে।
ইসলামাবাদ পুলিশের সাড়ে ছয় হাজার কর্মী ছাড়াও দেড় হাজার রেঞ্জার্স এবং সেনা কর্মীরা রাজধানীতে ভোটের সময় নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন। মুখ্য নির্বাচন কমিশনারও কর্তৃপক্ষকে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছেন।
আফগানিস্তান ও ইরানের সঙ্গে সীমান্ত পারাপারের জায়গাগুলো বৃহস্পতিবার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ভোটে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যেই এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিয়েছেন। ইমরান এখন জেলে আছেন। সেখান থেকেই তিনি ভোট দেন।
ইমরান ছাড়াও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশি, পাকিস্তান পাঞ্জাবের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী চৌধুরী পারভেজ ইলাহি, আওয়ামী মুসলিম লীগের প্রধান শেখ রশিদ ও সাবেক তথ্যমন্ত্রী ফায়াদ চৌধুরীও পোস্টাল ব্যালটে ভোট দেন।
তবে ইমরানের স্ত্রী বুশরা বিবি ভোটে অংশ নিতে পারেননি। কারণ, পোস্টাল ব্য়ালট প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর তাকে গ্রেফতার করা হয়।
পাকিস্তানের জাতীয় ও আঞ্চলিক নির্বাচনে সবমিলিয়ে ১৭ হাজার ৮১৬ জন প্রার্থী আছেন। এর মধ্যে জাতীয় নির্বাচনে পাঁচ হাজার ১২১ জন ও আঞ্চলিক নির্বাচনে ১২ হাজার ৬৯৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এরমধ্যে ১১ হাজার ১৭৪ জন পুরুষ ও ৬০৭ জন নারী।
সম্পাদক ও প্রকাশক- মেহেদী হাসান
Copyright © 2025 Livenews24. All rights reserved.