মিরপুর শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দেশের ক্রিকেটের অর্ধেকের বেশি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। তবে এই মাঠের উইকেট নিয়ে বেশ আলোচনা-সমালোচনা রয়েছে। যা কি না সব সময়ই চলে। মূলত এই মাঠে বড় রান স্কোরিং দেখা যায় না ব্যাটারদের তুলনায় বোলারদের যেন আধিপত্য কয়েক গুণে বেশি। যেখানে গোটা বিশ্ব জুড়ে ব্যাটাররা তাণ্ডব চালায় ব্যাট হাতে সেখানে মিরপুরে এলেই তারা যেন নিজেদের হারিয়ে খুঁজে। কয়েকদিন আগে যার সমালোচনা করে ভালো উইকেটের তৈরির কথা জানিয়েছিলেন টাইগাদের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।
চলতি বছরে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ-তার আগে ঘরের মাঠে বিপিএলই দেশের ক্রিকেটারদের প্রস্তুতির সেরা মঞ্চ। তাই সেটিকে সামনে রেখে ঘরোয়া আসর বিপিএলে বিশ্বকাপের উইকেটই ক্রিকেটারদের দেওয়া হবে, এমনটায় আজ গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে জানান বিসিবির গ্রাউন্ডস কমিটির প্রধান মাহবুবুল আনাম
তিনি বলেন, ‘টি-টোয়েন্টি ব্যাটারদের খেলা। আমরা চাইবো যেন এখানে প্রচুর রান হয়। তবে অবশ্যই ব্যাটারদের দক্ষতাও থাকতে হবে, বোলারদের দক্ষতাও থাকবে হবে। আমরা আগামী বিশ্বকাপকে সামনে রেখে যে ধরনের উইকেট আইসিসি আন্তর্জাতিক ইভেন্টগুলোতে তৈরি করার চেষ্টা করে, আমরা সেরকম চেষ্টা করবো।’
বৈরি আবহাওয়া উইকেটে প্রথম দিকে সমস্যা হবে নিয়ে মাহবুব আনাম বলেছেন, ‘এখন যেরকম কুয়াশা ও শৈত্যপ্রবাহ চলছে তাতে হয়তো শুরুতে আমরা কিছু সমস্যার মুখোমুখি হবো। আমাদের প্রচেষ্টা থাকবে ভালো উইকেট যেটা আগামী বিশ্বকাপ সঙ্গে সমতুল্য রেখে একটা উইকেটই বানানোর কথাই ওদের বলা হয়েছে। যেন আমাদের ব্যাটার যারা খেলবে তারা যেন বিশ্বকাপের জন্য একটা প্রস্তুতি হিসেবে এটাকে ব্যবহার করতে পারে।’
আরও বলেন, ‘আমার মনে হয় সবার স্কিল আছে। বিসিবি এই মুহূর্তে আমাদের যেহেতু একজন শক্তিশালী পরামর্শক আছেন টনি হেমিং। ও যেভাবে আমাদের কিউরিটেরদের জ্ঞান দিচ্ছে এবং তার যে অভিজ্ঞতা, আমার মনে হয় বাইরে থেকে কাউকে আনার প্রয়োজনীয়তা হবে না। ’
বিপিএলের গত আসরের উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেছেন, ‘গত বিপিএলেও আমরা ভালো উইকেট পেয়েছি। এবং বেশ রান হয়েছিল। আমি মনে করি যে এটা সম্পূর্ণভাবে সম্ভব। আমাদের যে দক্ষতা রয়েছে কিউরেটর দলের তাদের দিয়েই ভালো উইকেট দিতে পারবো বলে আশা করছি।’