শেখ মোঃ ইমরান, গোপালগঞ্জ।।
গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে মোসাঃ পারভিন(৫৫) নামে এক নারিকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের লোকজনের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় রবিবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুর ২টার দিকে আহতে মেয়ে মোসাঃ মিম বেগম বাদি হয়ে ০৪ জনের নামে কাশিয়ানী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযুক্তরা হলেন-১।মোঃ রুহুল আমীন তালুকদার (২৭), পিতা-মৃত রাঙ্গা মিয়া, ২। মোঃ মিনটু শেখ (৪৫), পিতা-আলতাব শেখ, ৩। মোঃ মোস্তাক শেখ (৩০), পিতা-অজ্ঞাত, ৪। মোসাঃ রানু বেগম (৩৫), স্বামী-মোঃ মিনটু শেখ। তারা কাশিয়ানী উপজেলার মহেসপুর ইউনিয়নের গেড়াখোলা(দক্ষিণ পাড়া) গ্রামের বাসিন্দা।
আহত মোসাঃ পারভিন বেগম একই এলাকার মোঃ মিন্টু শেখের স্ত্রী। তিনি কাশিয়ানী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, রুহুল আমীন তালুকদার তাদের বাড়ির পথ না থাকায় দীর্ঘ দিন যাবৎ মোসাঃ পারভিন বেগমের বাড়ির পথ দিয়ে যাতায়াত করে। তারা যাতায়াতে সময় বাড়ির জায়গায় থাকা বিভিন্ন গাছপালার ক্ষতী করছে বিধায় মোসাঃ পারভিন তাহাদের নিষেধ করলে রুহুল আমীন ও তার লোকজন বিভিন্ন ধরনের অকথক ভাষায় গালিগালাজ সহ বিভিন্ন প্রকার হুমকি প্রদান করে।
১০ ডিসেম্বর রবিবার সকাল অনুমান ১১টার সময় সকল বিবাদীগন পারভিন বেগমের বাড়ির জায়গায় এসে জোরপূর্বক জায়গা থেকে তাহাদের বাড়ির পথ নেয়ার চেস্টা করে। মিম বেগম ও আমার মা মোসাঃ পারভীন বেগম (৫৫), বাধা দিলে বিবাদীগন তাদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে এবং এলোপাথারী কিলঘুষী মারতে থাকে। এক পর্যায়ে রুহুল আমীন মিম ও মা পারভিন বেগম কে লাঠি দিয়া আঘাত করতে থাকে। শরীরের বিভিন্ন স্থানে নিলাফোলা জখম করে এবং বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি সহ হুমকি প্রদান করে।
রুহুল আমীন মিম আহতের গলা থেকে এক ভরি ওজনের (প্রায় ৮০ হাজার টাকা) একটি সোনার চেইন নিয়ে গেছে। রুহুলে সাথে থাকা তার সহকারীরা একটি ছাগল ও ঘরের ভিতরে লুটতরাজ করে প্রয়জনি কাগজ-জিনিসপত্র নিয়ে জায়। পরে তাদের আত্মচিৎকারে বাড়ীর আশপাশের স্থানীয়রা ছুটে আসে এবং তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
অভিজুক্তদের বক্তব্য জানতে চেষ্টা করেও কাউকে পাওয়া যায়নি। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে তারা আত্মগোপনে রয়েছে।
মহেসপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য (মেম্বার) মোঃ শাখাওয়াত মোল্লা বলেন, ঘটনা যা ঘটেছে সঠিক, আমি কাশিয়ানী হাসপাতালে আহত রোগীকে দেখতে গিয়েছি। ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। বিষয়টি মিমাংসা করে দেওয়ার চেষ্টা করবো।
কাশিয়ানী থানার তদন্তকারি কর্মকর্তা এস.আই ফকির মিজান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পারভিন বেগম নামে এক নারীকে পিটিয়ে আহতের ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। আমরা তাকে দেখতে হাসপাতালে ও ঘটনাস্থলে গিয়েছি। তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তদন্ত প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
LN24BD
সম্পাদক ও প্রকাশক- মেহেদী হাসান
Copyright © 2025 Livenews24. All rights reserved.