সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে দেশের তিন বিভাগের লিখিত পরীক্ষা শুরু হয়েছে। এই পরীক্ষায় প্রতি আসনে লড়ছেন প্রায় ১৩০ জন প্রার্থী। শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় এই পরীক্ষা শুরু হয়েছে। চলবে ১১টা পর্যন্ত।
রংপুর, বরিশাল ও সিলেট এই তিন বিভাগের ১৮টি জেলায় এবারের পরীক্ষার্থীর সংখ্যা তিন লাখ ৬০ হাজার ৬৯৭ জন। কেন্দ্রের সংখ্যা ৫৩৫টি এবং কক্ষের সংখ্যা ৮১৮৬টি।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের তথ্যানুযায়ী, দুই হাজার ৭৭২টি শূন্যপদে আবেদন করেছেন তিন লাখ ৬০ হাজার ৬৯৭ জন চাকরিপ্রার্থী। সেই হিসাবে প্রতি পদের বিপরীতে লড়ছেন ১৩০ জন।
নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়া জেলাগুলো হলো: রংপুর, গাইবান্ধা, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী, লালমনিরহাট, বরিশাল, পটুয়াখালী, ভোলা, বরগুনা, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, সিলেট, হবিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ ও মৌলভীবাজার।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত জানান, সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা অনুষ্ঠানের জন্য প্রয়োজনী সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন রয়েছেন।
সুন্দর ও শান্তিপূর্ণভাবে পরীক্ষা সম্পাদনের জন্য তিনি সবার সহযোগিতা কামনা করেন।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের পক্ষ থেকে পরীক্ষাসংক্রান্ত জরুরি প্রয়োজনে সংশ্লিষ্টদের ০২৫৫০৭৪৯৬৯ টেলিফোন নম্বরে যোগাযোগের অনুরোধ জানানো হয়েছে।
এর আগে বুধবার (৬ ডিসেম্বর) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, এই পরীক্ষায় কোনো অবৈধ হস্তক্ষেপ ও লেনদেনের সুযোগ নেই। কেউ এ ধরনের প্রস্তাব দিলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে সোপর্দ করুন।
প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে প্রথম ধাপের পরীক্ষা গত ২৪ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। ৮ নভেম্বর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়, ২৪ নভেম্বরের পরিবর্তে ১ ডিসেম্বর পরীক্ষা হবে। তবে ২১ নভেম্বর আন্তঃমন্ত্রণালয়ের সভায় তা পিছিয়ে ৮ ডিসেম্বর নতুন তারিখ নির্ধারণ করা হয়।
সম্পাদক ও প্রকাশক- মেহেদী হাসান
Copyright © 2024 Livenews24. All rights reserved.