বাংলাদেশের আসন্ন সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে যুক্তরাষ্ট্র হস্তক্ষেপের চেষ্টা করছে বলে দাবি করেছে রাশিয়া। এর প্রতিক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, রাশিয়া ইচ্ছাকৃতভাবে ভুল তথ্য উপস্থাপন করেছে। বাংলাদেশের কোনো রাজনৈতিক দলকে যুক্তরাষ্ট্র সমর্থন করে না।
শনিবার (২৫ নভেম্বর) রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে ঢাকার মার্কিন দূতাবাস থেকে তাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের প্রতিক্রিয়া পাঠানো হয়।
প্রতিক্রিয়ায় আরও বলা হয়, বাংলাদেশের জনগণ যা চায়, আমরাও তা-ই চাই এবং সেটি হচ্ছে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন, যা শান্তিপূর্ণ উপায়ে অনুষ্ঠিত হবে। আমাদের এবং বাংলাদেশের জনগণ উভয়ের লক্ষ্য হচ্ছে শান্তিপূর্ণ উপায়ে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন এবং মার্কিন দূতাবাসের কর্মকর্তারা সরকার, বিরোধী দল, সুশীল সমাজ এবং অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলবে।
এর আগে গত ২২ নভেম্বর রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা এক ব্রিফিংয়ে বলেন, বাংলাদেশ সরকারের বিদেশি কারও সহায়তা ছাড়াই ‘বৈধ নির্বাচনের’ সক্ষমতা আছে বলে মনে করে রাশিয়া। এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে হস্তক্ষেপের চেষ্টা করছে যুক্তরাষ্ট্র, যা ভিয়েনা কনভেনশনের বিরোধী।
তিনি আরও বলেন, আসন্ন সংসদ নির্বাচনকে স্বচ্ছ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক করার ছদ্মাবরণে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক প্রক্রিয়া প্রভাবিত করার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের প্রচেষ্টার বিষয় আমরা অব্যাহতভাবে তুলে ধরে আসছি। আমাদের কোনো সন্দেহ নেই যে, বিদেশি শুভাকাঙ্ক্ষীদের সহায়তা ছাড়াই সংবিধানের বিধানমতো ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি সংসদ নির্বাচন স্বাধীনভাবে আয়োজনের সক্ষমতা বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের আছে।
মারিয়া জাখারোভার দাবি, অক্টোবরের শেষে বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস সরকারবিরোধী বিক্ষোভের প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা করার জন্য বিরোধীদলীয় এক সদস্যের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
তিনি পিটার হাসের এই তৎপরতাকে ভিয়েনা কনভেনশন না মেনে সার্বভৌম দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে চরম হস্তক্ষেপ হিসেবে অভিহিত করেন।
সম্পাদক ও প্রকাশক- মেহেদী হাসান
Copyright © 2025 Livenews24. All rights reserved.