ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় যুদ্ধ শুরুর পর বুধবার প্রথমবারের মতো রাফাহ সীমান্ত খুলে দিয়েছে মিশর। এর পর থেকে বহু বিদেশি পাসপোর্টধারী থেকে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা ছাড়তে শুরু করেছে।
আল জাজিরা ও রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, গাজা উপত্যকা লক্ষ্য করে গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের আক্রমণ শুরুর পর বুধবার প্রথমবারের মতো রাফাহ ক্রসিং হয়ে কিছু আহত ফিলিস্তিনির পাশাপাশি ৫০০ এর মতো বিদেশি নাগরিক অঞ্চলটি ছেড়ে গেছেন।
এএফপি জানিয়েছে, রাফাহ সীমান্ত দিয়ে ঠিক কতজন লোক চলে যেতে সক্ষম হয়েছিল, তা তাৎক্ষণিকভাবে পরিষ্কার নয়। তবে ঘটনাস্থলের লাইভ ফুটেজে দেখা গেছে, ফিলিস্তিনি দিকের টার্মিনাল দিয়ে বিপুলসংখ্যক লোক ঢুকছে।
এর আগে মিশর থেকে ২০০টির বেশি ট্রাক জরুরি ত্রাণ নিয়ে গাজায় প্রবেশ করে। তবে যুদ্ধবিধ্বস্ত ওই অঞ্চলের কোনো লোককে রাফাহ সীমান্ত দিয়ে বাইরে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়নি
রয়টার্সকে একটি সূত্র জানিয়েছে, বিদেশি পাসপোর্টধারী ও মারাত্মকভাবে জখম ব্যক্তিদের গাজা ছেড়ে যাওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সমন্বয় করে মিশর, ইসরায়েল ও হামাসের সঙ্গে চুক্তিতে মধ্যস্থতা করেছে কাতার। তবে এই চুক্তিতে খাদ্য, পানি, জ্বালানি ও চিকিৎসা-সামগ্রীর মারাত্মক সংকটে ভোগা গাজার মানবিক সংকট কমাতে যুদ্ধবিরতি কিংবা হামাসের হাতে জিম্মি থাকা বিদেশিসহ ইসরায়েলিদের বিষয়ে কোনো মধ্যস্থতা হয়নি।
ইসরায়েলি বিমান হামলায় গাজায় নিহত ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে আট হাজার ৭৮৬ জন। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত ফিলিস্তিনিদের মধ্যে তিন হাজার ৬৪৮ জনই শিশু। এছাড়া নিহতদের মধ্যে দু’হাজার ২৯০ জন নারী আছে।
সেখানে ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছে এক হাজার ১২০জন শিশুসহ মোট দু’হাজার ৩০ জন। তারা সবাই নিখোঁজ রয়েছেন।
ইসরায়েলি বিমান হামলায় গাজার ১৩০ প্যারামেডিক এবং মেডিকেল ক্রু নিহত হয়েছেন। সেখানে ২৮টি অ্যাম্বুলেন্স ধ্বংস হয়েছে এবং ২৭০টিরও বেশি স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থায় বিমান হামলা হয়।
সম্পাদক ও প্রকাশক- মেহেদী হাসান
Copyright © 2025 Livenews24. All rights reserved.