চীনে বিপুল পরিমাণ জনসংখ্যা থাকার পরও খালি রয়েছে লাখ লাখ বাড়ি। এমনকি দেশটির ১৪০ কোটি জনসংখ্যার সবাই এসব আবাসনে থাকলেও অনেক ফ্লাট খালি থেকে যাবে। এসব ফ্ল্যাটের ক্রেতা মিলছে না।
গতকাল শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দেশটির সংকটে থাকাস্ত রিয়েল এস্টেট খাত নিয়ে এমন মন্তব্য করেন সাবেক এক কর্মকর্তা। খবর রয়টার্সের
চীনা অর্থনীতির একসময়কার স্তম্ভ আবাসন খাত ২০২১ সালের পর থেকেই পড়তি অবস্থা দেখছে। রিয়েল এস্টেট জায়ান্ট চায়না এভারগ্র্যান্ড গ্রুপসহ অন্যান্য সংস্থার লাগাতার ঋণ পরিশোধের ব্যর্থতা সংকটের অন্যতম কারণ। সর্বশেষ কান্ট্রি গার্ডেন হোল্ডিংসের ধস এ খাতে বড় হতাশার সৃষ্টি করেছে।
চীনের জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যুরোর দেওয়া তথ্য বলছে, সারা দেশে আবাসন খাতে প্রায় ৬৫ কোটি (৬৪ দশমিক ৮ কোটি) বর্গমিটার খালি ভবন পড়ে রয়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের হিসাব বলছে, সব মিলিয়ে ৭২ লাখ খালি ভবন রয়েছে চীনজুড়ে। এসব ভবনের প্রতিটি বাড়ি বা অ্যাপার্টমেন্টের আয়তন গড়ে ৯৭০ বর্গফুট হিসেবে অনুমান করা হয়েছে।
এই হিসাবে সেসব আবাসিক ভবনকে ধরা হয়নি, যেগুলো এরই মধ্যে ক্রেতারা অগ্রিম টাকা দিয়ে কিনে নিয়েছেন, কিন্তু নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো আর্থিক সংকটের কারণে নির্মাণ করতে পারেনি। বিশেষজ্ঞরা অনুমান করছেন, ২০১৬ সালের শেষ দিক থেকে পরবর্তী কয়েক বছর মধ্যস্বত্বভোগী ফটকাবাজেরা বিপুল পরিমাণ বাড়ি কিনে নেওয়া এই আবাসন সংকট তৈরির অন্যতম কারণ।
চীনের জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যুরোর সাবেক উপপ্রধান হে কেং (৮১) বলেছেন, ‘কী পরিমাণ খালি বাড়ি পড়ে রয়েছে, আপনি অনুমান করতে পারেন? প্রত্যেক বিশেষজ্ঞই আলাদা আলাদা সংখ্যা বলছেন। তবে অধিকাংশই বিশ্বাস করেন যে, দেশে বর্তমানে খালি বাড়ির যে সংখ্যা রয়েছে, তা পূরণ করতে অন্তত ৩০০ কোটি লোক প্রয়োজন।’
হে কেং আরও বলেন, ‘এই অনুমান হয়তো খানিকটা বেশি। তবে এটি নিশ্চিত যে, দেশের ১৪০ কোটির বেশি মানুষ এই খালি ভবনগুলো কোনোভাবেই পূরণ করতে পারবে না।’
সম্প্রতি সংবাদ সম্মেলনে চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বলেছেন, চীনের অর্থনীতি ধসে পড়ার ভবিষ্যদ্বাণী সম্বলিত মন্তব্য প্রতিনিয়ত সামনে আসছে। কিন্তু বাস্তবে এসব কথাই ধসে পড়ছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক- মেহেদী হাসান
Copyright © 2025 Livenews24. All rights reserved.