শেখ মোঃ ইমরান, গোপালগঞ্জ।
লাল টুক-টুকে ও বিশাল আকৃতির দেহ। এ যেন এক দৈত্য। নাম তার "লাল বাহাদুর"। না কোনো দৈত্য নয়, বলছি শাহীওয়াল জাতের একটি ষাঁড়েট কথা।
আসন্ন ঈদুল আজহা'কে সামনে রেখে গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী উপজেলার সাজাইল ইউনিয়নের ভাট্টাইধোবা গ্রামের আতিয়ার মুন্সি তার নিজ বাড়ীতে শাহীওয়াল জাতের একটি ষাঁড় বিক্রয়ের জন্য প্রস্তুত করেছেন।
দীর্ঘ তিন বছর ধরে শাহীওয়াল জাতের ষাঁড়টিকে আতিয়া মুন্সী ও তার ছেলে নজরুল মুন্সী পরম যত্নে সহকারে সন্তানের মত লালন পালন করে বড় করেছেন। সুঠাম দেহের অধিকারি,সু-উচ্চ এই ষাঁড়টিকে আদর করে তারা নাম দিয়েছেন "লাল বাহাদুর"।প্রতিদিন উৎসুক মানুষ ষাঁড়টিকে দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন ষাঁড়টির মালিক প্রান্তিক কৃষক আতিয়ার মুন্সির বাড়িতে।
আতিয়ার মুন্সি বলেন, আমার খামারের " লাল বাহাদুরের " কেবল মাত্র ০৪ দাত। ০৩ বছরেই আল্লাহর রহমতে এতটা বড় হয়ে গেছে । লাল বাহাদুর ১২-১৩ মন হবে আশা করছি । এবারের কোরবানির ঈদে লাল বাহাদুর সহ ৬ মনের আরও একটা গরু বিক্রি করার ইচ্ছা আছে । ছোট গরু বিক্রি করা সহজ, কাষ্টমার সহজে মেলে কিন্তু বড় এবং মাঝারি গরু বিক্রি করা কঠিন।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, আতিয়ার মুন্সি গত বছরও দু'টি বড় ষাঁড় গরু বিক্রি করেছেন। তিনি মুলত শাহীওয়াল জাতের ষাঁড় গরু পালন করে থাকেন। লাল বাহাদুর দেখতে অনেক বড় তাই আমরা দেখতে এসেছি।
আতিয়ার মুন্সীর বড়ছেলে নজরুল মুন্সি জানান, গরুটা প্রতিদিন প্রায় ৮৬৫ টাকার খাবার খায়। গরুটা খুব বাড়ন্ত সম্পুর্ন প্রাকৃতিক খাবার খড়, ছোলা, ভুট্রা ,গমের ভূষি, কুড়া এবং কাচা ঘাস খাওয়ায়ে বড় করেছি । আশেপাশের এলাকার যদি কেহো গরুটা ক্রয় করে এবং দাবী করে ঈদের পূর্ব পর্যন্ত আমার খামারে পালন করে দিতে হবে তাও দেবো।
LN24BD
সম্পাদক ও প্রকাশক- মেহেদী হাসান
Copyright © 2024 Livenews24. All rights reserved.