সন্তান বড় হচ্ছে, চারপাশের পৃথিবীটা নিজের মতো করে বুঝতে শিখছে। এই সময় সব শিশুরই ব্যবহার, বোধ-বুদ্ধি, পরিস্থিতি বিচারের ক্ষমতা এক এক রকমের হয়। তাই সন্তানকে মানুষের মতো মানুষ করতে গেলে এই সময় অভিভাবকদের সংযত হতে হয়। কারণ, স্কুল-কলেজ থেকে পুঁথিগত শিক্ষা পেলেও প্রাথমিকভাবে মা-বাবাকে দেখেই তাদের মধ্যে সহবত তৈরি হয়। স্বাভাবিকভাবেই মা-বাবা যেমন ব্যবহার করেন, যেমনভাবে কথা বলেন, শিশুরাও সেই একই ভাবধারা আত্মস্থ করার চেষ্টা করে। তাই অভিভাবকরা যদি সতর্ক না হন, সেক্ষেত্রে সন্তানের মধ্যে আপনার কিছু খারাপ অভ্যাস তাদের মধ্যে চলে যেতে পারে। তাই বাড়িতে ছোট সদস্য থাকলে আগে থেকেই সতর্ক হোন।
চিৎকার করা
পরিবারের কারও উপর চিৎকার করবেন না। শিশুরা এই স্বভাব চট করে আত্মস্থ করে ফেলে। শুধু তা-ই নয়, মোবাইল ফোন বা টেলিভিশনে এমন উত্তেজক কোনও অনুষ্ঠানও যেন তারা না দেখে, সে দিকেও নজর রাখতে হবে।
আলস্য
আপনি যদি সারাক্ষণ শুয়েবসে, টেলিভিশন দেখে সময় কাটান, বাড়ির খুদে সদস্যটিও কিন্তু সেই অভ্যাসেই বড় হবে। সুস্থ জীবনযাপন করতে যা যা করা প্রয়োজন, ছোট থেকে তেমন অভ্যাস করাতে না পারলে ভবিষ্যতে তাদেরই সমস্যায় পড়তে হবে।
নাকে আঙুল দেওয়া
কথায় কথায় নাকে আঙুল দেওয়ার স্বভাব, ছোটদের মধ্যে প্রায়ই দেখা যায়। কিন্তু এই অভ্যাস অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর। বাড়ির কাউকে দেখে এই অভ্যাস শিশুদের মধ্যে গড়ে উঠতেই পারে।
অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া
ছোট থেকে যদি খুদেরা মা-বাবাকে অস্বাস্থ্যকর খেতে দেখে, তা হলে তাদের মধ্যেও সেই একই অভ্যাস গড়ে উঠবে। শুধু তাই নয়, কৈশোরে বেশির ভাগ ছেলেমেয়ের মধ্যে মদ্যপান বা ধূমপানের মতো অভ্যাসও কিন্তু মা-বাবাদের দেখেই শুরু হয়।
বড়দের সম্মান না করা
বাড়িতেই হোক বা বাড়ির বাইরে, বয়সে বড় যে কোনও মানুষকে সম্মান করা প্রাথমিক কর্তব্যের মধ্যে পড়ে। তাই সন্তানের মধ্যে সেই অভ্যাস রপ্ত করাতে গেলে অভিভাবকদেরও এই নিয়ম মেনে চলতে হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশক- মেহেদী হাসান
Copyright © 2024 Livenews24. All rights reserved.