সিইসি বলেন, প্রবল বৃষ্টির সময় একটু বিঘ্ন ঘটেছিল, অনেককে আশ্রয় নিতে হয়েছিল (শেডে), ভোট কিছুটা শ্লথ গতি হয়েছিল। দু-একজন ভোটারের আঙ্গুলের ছাপ নিয়ে অসুবিধা হয়েছে। যেমন হাতে মেহেদী পরা ছিল, পরে হাত পরিষ্কার করে যখন এসেছে, তখন ছাপ ম্যাচ করেছে। এ জন্য ভোটগ্রহণে দেরি হয়।
বুধবার কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শেষে ঢাকায় নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এ মন্তব্য করেন তিনি।
হাবিবুল আউয়াল বলেন, সকাল থেকেই আমি ও মাননীয় কমিশনাররা, কর্মকর্তারা যতদূর সম্ভব সিসি ক্যামেরা, গণসংবাদগুলো পর্যবেক্ষণ করেছি। প্রথমবারের মতো সিসি ক্যামেরা দিয়ে মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা করেছি। এটা আমাদের নতুনত্ব, ভোটিং ব্যবস্থাতে সংযোজন হয়েছে।
সবার কাছে গ্রহণযোগ্য ভোটের আয়োজনে নিজেদের আন্তরিকতা তুলে ধরে তিনি বলেন, স্বচ্ছতার বিষয়ে আমরা আগে থেকে শক্ত ছিলাম। যাতে ভোট স্বচ্ছ হয়। সেজন্য সংবাদকর্মীদের অবাধ পর্যবেক্ষণের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। সেটাও একটা ইতিবাচক ফল। স্বচ্ছ করার ক্ষেত্রে, গ্রহণযোগ্য করার ক্ষেত্রে ভূমিকা রেখেছে। অবজারভাররাও দায়িত্ব পালন করেছে।
কোনো কেন্দ্রের ভোট কক্ষে অবাঞ্ছিত ব্যক্তি কাউকেও দেখা যায়নি দাবি করে সিইসি বলেন, আমরা পাইনি। ভোটকেন্দ্রে কোনো ডাকাত গেছে, এমন তথ্য পাইনি।
কুমিল্লায় ৬০ শতাংশের মতো ভোটগ্রহণ হয়েছে ধারণা দিয়ে তিনি বলেন, সার্বিকভাবে সিটি, পৌরসভা ও ইউপির ভোট শান্তিপূর্ণ, সুষ্ঠু ও নির্বিঘ্নে হয়েছে। ভোটাররাও তেমন কোনো অভিযোগ করতে একেবারেই আসেনি।
তবে সার্বিক মূল্যায়নের ভার সবার প্রতি ছেড়ে দিয়ে হাবিবুল আউয়াল বলেন, আমরা শুধু দায়িত্ব পালন করেছি। ফার্স্ট ক্লাস, সেকেন্ড ক্লাস, ফেইল- কী করেছি, এটা আপনারাই বিশ্লেষণ করবেন। আমি খুব উৎফুল্ল নই, বেদনার্থ ও ক্লান্ত-তাও নই। মনে করেছি এটা আমাদের দায়িত্ব। দায়িত্ব পালন করার চেষ্টা করেছি। কতটা সফলতার সঙ্গে করতে পেরেছি, তার মূল্যায়ন আমরা করতে পারব না।
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনে ১০৫টি কেন্দ্রের সবক’টিতেই ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে ভোট গ্রহণ হয়। যন্ত্রে ভোটগ্রহণে দেরির অভিযোগও উঠেছে।
কুমিল্লার পাশাপাশি কয়েকটি পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদেও একই দিনে ভোটগ্রহণ হয়। এবারই প্রথম ভোটকেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছিল, যার মাধ্যমে নির্বাচন ভবন থেকেও ভোট কেন্দ্রে নজরদারি করা যাচ্ছিল।