করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে দুর্যোগের মতো পরিস্থিতিতে লোকসমাগম বন্ধে বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করতে নামছে সেনাবাহিনী। মঙ্গলবার (২৪ মার্চ) থেকে বিভাগীয় ও জেলা শহরগুলোতে সেনাবাহিনী প্রশাসনকে সহায়তায় নিয়োজিত হবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
করোনাভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবেলায় সরকারের পদক্ষেপগুলো তুলে ধরে সোমবার (২৩ মার্চ) সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসেন মন্ত্রিপরিষদ সচিবসহ জনপ্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বিভাগীয় ও জেলা শহরগুলোতে সামাজিক দূরত্ব ও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সুবিধার্থে সেনাবাহিনী প্রশাসনকে সহায়তায় নিয়োজিত হবে। জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের সমন্বয়ে তারা জেলা ও বিভাগীয় করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা ব্যবস্থা, সন্দেহজনক ব্যক্তিদের কোয়ারেন্টিন ব্যবস্থা পর্যালোচনা করবে। সেনাবাহিনী বিশেষ করে বিদেশ ফেরত ব্যক্তিদের কেউ নির্ধারিত কোয়ারেন্টিন বাধ্যতামূলক সময় পালনে ত্রুটি বা অবহেলা করছে কি না, তা পর্যালোচনা করবে।
জেলা ম্যাজিস্ট্রেটরা এজন্য স্থানীয় আর্মি কমান্ডারের কাছে সেনাবাহিনী কর্তৃক অবস্থা পর্যালোচনার জন্য আইনুসারে অনুরোধ জানাবেন বলেও জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
এর আগে মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে সব সরকারি অফিস ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। সাধারণ ছুটির সময়ে সরকারি-বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকবে। এর মধ্য ২৯ মার্চ থেকে ২ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি থাকবে। এর আগে ও পরে ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসের ছুটি। ২৭ ও ২৮ মার্চের সাপ্তাহিক ছুটিও যোগ হবে। এ ছাড়া ৩ ও ৪ এপ্রিল সাপ্তাহিক ছুটি এ ছুটির সঙ্গে যোগ হবে। তবে এ ছুটি কাঁচাবাজার, খাবার, ওষুধের দোকান, হাপসাতাল এবং জরুরি সেবার জন্য প্রযোজ্য হবে না।
সম্পাদক ও প্রকাশক- মেহেদী হাসান
Copyright © 2025 Livenews24. All rights reserved.