অনলাইন ডেস্ক।।
চীনকে “সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার” হিসেবে বর্ণনা করে আফগান তালেবান বলেছে যে, যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটিতে ব্যাপক ক্ষুধা এবং অর্থনৈতিক সংকটের আশঙ্কায় আফগানিস্তানের পুনর্গঠন এবং তাদের সমৃদ্ধ তামার ভাণ্ডারকে কাজে লাগানোর জন্য চীনের দিকে তাকিয়ে আছে তারা।
তালেবান মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ বলেন, চীনের ওয়ান বেল্ট, ওয়ান রোড উদ্যোগকে সমর্থন করে তালেবান। এই উদ্যোগ বন্দর, রেলপথ, রাস্তা এবং শিল্প পার্কের বিশাল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে চীনকে আফ্রিকা, এশিয়া এবং ইউরোপের সাথে যুক্ত করতে চায়।
বৃহস্পতিবার এক ইতালীয় সংবাদপত্রকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মুজাহিদকে বলেন, “চীন আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার এবং আমাদের জন্য একটি মৌলিক এবং অসাধারণ সুযোগের প্রতিনিধিত্ব করে। কারণ দেশটি আমাদের দেশে বিনিয়োগ ও পুনর্গঠনের জন্য প্রস্তুত”।
জবিউল্লাহ মুজাহিদ বলেন, দেশে সমৃদ্ধ তামার খনি রয়েছে, যা চীনাদের সহায়তায় পুনরায় সচল এবং আধুনিকীকরণ করা যেতে পারে। উপরন্তু, চীন বিশ্ব বাজারে আমাদের জন্য প্রবেশদ্বার হিসেবেও কাজ করবে।
চীনও তালেবানদের ব্যাপারে কিছু ইতিবাচক বক্তব্য দিয়েছে এবং আশা প্রকাশ করেছে যে তালেবানরা এবার মধ্যপন্থী এবং বিচক্ষণ দেশীয় ও বৈদেশিক নীতি অনুসরণ করবে, সব ধরনের সন্ত্রাসবাদী শক্তির মোকাবেলা করবে, অন্যান্য দেশের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ জীবনযাপন করবে এবং তাদের নিজেদের মানুষ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আকাঙ্ক্ষা পূরণ করবে।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন মঙ্গলবার বলেন, চীন আফগানিস্তানের সার্বভৌমত্বকে সম্মান করে এবং এতে কোনো হস্তক্ষেপ করবে না এবং “সমগ্র আফগান জনগণের” সাথে বন্ধুত্ব বজায় রাখবে। আর আফগানিস্তানের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য সবাইকে নিয়ে একটি সরকার গঠন করতে হবে। বৈদেশিক ও অভ্যন্তরীণ ক্ষেত্রে মধ্যপন্থী নীতি নিতে হবে এবং সব ধরনের সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে হবে”।
জাবিউল্লাহ মুজাহিদ বলেন, তালেবানরা রাশিয়াকেও এই অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হিসেবে দেখছে এবং মস্কোর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখবে।
সম্পাদক ও প্রকাশক- মেহেদী হাসান
Copyright © 2024 Livenews24. All rights reserved.