অনলাইন ডেস্ক।।
চীনে করোনাভাইরাস (কভিড-১৯) সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় তা নিয়ন্ত্রণে জোর প্রচেষ্টা চলছে।
এদিকে দেশটির কর্মকর্তারা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার জন্য করোনার ভারতীয় ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টকে দায়ী করেছেন।
চীনের ১৪টি প্রদেশে করোনার সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে। দেশটিতে জুলাই মাসে উপসর্গমূলক সংক্রমণের সংখ্যা ৩২৮ হয়েছে, যা ফেব্রুয়ারি থেকে জুন এ সময়ের সংখ্যার সমান।
এক প্রেস ব্রিফিংয়ে ন্যাশনাল হেলথ কমিশনের মুখপাত্র মি ফেং বলেছেন, বর্তমানে সংক্রমণের প্রধান ভ্যারিয়েন্টই হলো ডেল্টা। এটি ভাইরাস প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে।
চীনের উহানে ২০১৯ সালের শেষ দিকে করোনাভাইরাসের প্রথম প্রাদুর্ভাব ঘটে। চীন খুবই সাফল্যের সঙ্গে ভাইরাসটি নিয়ন্ত্রণে সক্ষম হয়। কিন্তু নতুন ভ্যারিয়েন্টের এই ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে দেশটিকে এখন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয়েছে।
চীনের পূর্বাঞ্চলীয় জিয়াংসু প্রদেশের নানজিং বিমানবন্দর থেকে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টটি ছড়িয়ে পড়ে। বর্তমানে ওই প্রদেশের শত শত লোক লকডাউনে রয়েছে।
তবে তীব্র সংক্রামক ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের পাশাপাশি চীনে পর্যটন মৌসুম হওয়ায় সংক্রমণের ঝুঁকি অনেক বেশি বেড়ে গেছে।
শনিবার নতুন করে আরও দু’টি প্রদেশে সংক্রমিত রোগী পাওয়া গেছে। এ দু’টি প্রদেশ হলো ফুজিয়ান ও শানজি।
চাইনিজ সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের ভাইরাসবিদ ফেং জিজিয়ান বলেছেন, ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে কভিড টিকার কার্যকারিতা কিছুটা কমেছে। তবে বর্তমানের এই টিকা এখনো ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে যথেষ্ট কার্যকরী।
এদিকে চীনে দেশজুড়ে এ পর্যন্ত একশ’ কোটি ৬০ লাখ ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা আশা করছেন, চলতি বছরের শেষ নাগাদ ৮০ শতাংশ লোককে টিকার আওতায় আনা সম্ভব হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশক- মেহেদী হাসান
Copyright © 2025 Livenews24. All rights reserved.