আমিরুল ইসলাম কবিরঃ
গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জে শাশুড়ী ও শ্যালীকাকে ধর্ষণের অভিযোগে দায়েরকৃত দুটি মামলায় জামাই রুহুল আমিন (২৬)'কে গ্রেফতার করেছে র্যাব ১৩।
২৬ জুলাই সোমবার গ্রেপ্তারকৃত রুহুল আমিনকে গোবিন্দগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নেয়া হলে আদালতের নির্দেশে তাকে গাইবান্ধা জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
জানা গেছে,গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার তালুককানুপুর ইউনিয়নের সমসপাড়া গ্রামের আব্দুল মজিদের ছেলে রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন,পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দুই ভিকটিম বাদী হয়ে পৃথক দুটি মামলা (৩৭ ও ৩৮) দায়ের করেছেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার হরিরামপুর ইউনিয়নের রামপুরা গ্রামে রুহুল আমিন তার শ্বশুর বাড়িতে প্রায়ই যাতায়াত করতেন। এরই মাঝে শাশুড়ীর গোসলরত আপত্তিকর ছবি মোবাইল ফোনে ধারণ করে জামাই রুহুল আমিন। পরে ওই ভিডিও ফেসবুকে ছেড়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে শাশুড়ীকে কু-প্রস্তাব দেয় রুহুল আমিন। এতে শাশুড়ী রাজী না হওয়ায় রুহুল আমিন তাকে জোরপূর্বক গত ১৩ মার্চ থেকে ৭ জুলাই পর্যন্ত বিভিন্নসময় ধর্ষণ করে।
অন্যদিকে,গাইবান্ধা শহরের পলাশপাড়ায় নিজ শ্যালিকার বাড়িতে গিয়েও ২০২০ সালে একই রকম ঘটনা ঘটিয়ে তাকে ধর্ষণের চেষ্টার ভিডিও করে রুহুল আমিন। এরপর ওই শ্যালিকাকে কৌশলে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার সমসপাড়ায় তার ফুফাতো বোনের বাড়িতে নিয়ে আবারো ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করে। বিষয়টি নিয়ে গাইবান্ধা র্যাব-১৩ ক্যাম্পের অভিযোগ করা হয়।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে র্যাব গত রোববার ২৫ জুলাই রুহুল আমিনকে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কাটাখালি বালুয়া বাজারের মুক্তিযোদ্ধা ময়েজউদ্দিন সুপার মার্কেট থেকে গ্রেপ্তার করে। এসময় তার কাছ থেকে মোবাইলে ধারণকৃত অশ্লীল ভিডিও ও স্থিরচিত্রসহ মোবাইল ফোনটি জব্দ করা হয়।
উল্লেখ্য,এঘটনা প্রকাশ পাওয়ার পর অত্র এলাকাসহ জেলার সচেতন মহল এ ধর্ষকের দৃষ্ঠান্তমূলক শাস্তি দাবী জানিয়েছেন।√#
সম্পাদক ও প্রকাশক- মেহেদী হাসান
Copyright © 2024 Livenews24. All rights reserved.