অনলাইন ডেস্ক |
আগামীতে টিকাদান বন্ধ রাখতে হবে না, টিকাদান চলবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। রবিবার সচিবালয়ে এক অনুষ্ঠান শেষে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
করোনাভাইরাসের টিকা আনার অগ্রগতির বিষয়ে জানতে চাইলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা ২৫ লাখ মডার্নার টিকা পাচ্ছি। কিছুদিনের মধ্যেই এই টিকা চলে আসবে। এক্ষেত্রে আমাদের যে সিদ্ধান্ত দেয়ার বিষয় ছিল, সেটা আমরা দিয়ে দিয়েছি। চায়না থেকে আমরা তাড়াতাড়ি টিকা পেয়ে যাব বলে আশা করছি। আগামী মাসেও চায়নার সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী হয়তো আমরা টিকা পেতে থাকব। কোভ্যাক্স থেকেও আমরা টিকা পেতে থাকব। রাশিয়ার সঙ্গেও হয়তো আমরা চুক্তি সমাপ্ত করতে পারব।
তিনি আরও বলেন, টিকা কার্যক্রম আমাদের বন্ধ রাখতে হয়েছিল। আগামীতে বন্ধ রাখতে হবে না। টিকাদান কার্যক্রম ইনশাআল্লাহ চলমান থাকবে।
করোনা পরিস্থিতি কিভাবে মোকাবিলা করবেন জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, সংকট এড়ানোর জন্যই তো লকডাউন দেয়া হচ্ছে। আমাদের এখনও চিকিৎসা দেয়ার যথেষ্ট উপায় আছে। ১২ থেকে ১৫ হাজার বেড সারাদেশে করোনা চিকিৎসার জন্য রেডি করা আছে। এখনও আমাদের যথেষ্ট বেড আছে, আমরা রোগী রাখতে পারব। হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা অনেক আছে। সরকারি-বেসরকারিভাবে প্রায় ১ হাজার ৬০০ অক্সিজেন কনসেন্ট্রটর আছে। ওষুধের কোন ঘাটতি নেই। এদিক থেকে আমরা সহনীয় পর্যায়ে আছি।
মন্ত্রী বলেন, আমাদের এখন থেকেই করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। যদি লাখ লাখ লোক আক্রান্ত হয়ে যায় তবে তো কষ্ট হবেই। সেজন্য লকডাউন দিয়ে নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে।
বাংলাদেশে টিকা উৎপাদনের বিষয়ে জানতে চাইলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, টিকা উৎপাদনের বিষয়ে আমরা নীতিগতভাবে ইডিসিএলকে (এসেনশিয়াল ড্রাগ লিমিটেড) অনুমতি দিয়েছি। এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে যা যা নির্দেশনা, সহযোগিতা দেয়া দরকার, সেটা করার জন্য পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন, ইডিসিএল টিকা উৎপাদন কার্যক্রম শুরু করবে। এটা একটু সময় সাপেক্ষ। যত তাড়াতাড়ি পারা যায় আমরা উৎপাদনে যাব, এটাই আমাদের চেষ্টা থাকবে।
আরেক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, আমরা উৎপাদন করলে তো বাংলাদেশের টিকাই করব। আমরা যদি কারো সঙ্গে কোলাবরেশনে যাই, সেটাও আমরা দেখব। যদি কেউ আমাদের অফার করে, তাদের টিকা বাংলাদেশে উৎপাদন করবে, তাহলে প্রাইভেট কোম্পানিগুলো আছে, তারা সেখানে উৎপাদন করতে পারবে। সেই সুযোগ সুবিধা আমাদের নেই, প্রাইভেট কোম্পানিগুলোর আছে। সেটা আমাদের নীতিগতভাবে অনুমোদন দেয়া আছে।
গ্লোব বায়োটের বঙ্গভ্যাক্স ভ্যাকসিনের অনুমোদনের বিষয়ে জানতে চাইলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, তাদেরকেও আমরা সহযোগিতা করছি। টিকা তৈরি করার বিভিন্ন পদক্ষেপ আছে। সেই পদক্ষেপগুলো পার হয়ে আসলেই তারা টিকা উৎপাদন করতে পারবেন। কিন্তু আন্তর্জাতিক যে নিয়মনীতি আছে, ডব্লিউএইচওর যে নিয়মনীতি আছে টিকা উৎপাদন করার সেই নিয়মনীতিগুলোর পরিপালন করে তারা আসলেই টিকা উৎপাদন করতে পারবে।
আছে। সেই পদক্ষেপগুলো পার হয়ে আসলেই তারা টিকা উৎপাদন করতে পারবেন। কিন্তু আন্তর্জাতিক যে নিয়মনীতি আছে, ডব্লিউএইচওর যে নিয়মনীতি আছে টিকা উৎপাদন করার সেই নিয়মনীতিগুলোর পরিপালন করে তারা আসলেই টিকা উৎপাদন করতে পারবে।
সম্পাদক ও প্রকাশক- মেহেদী হাসান
Copyright © 2025 Livenews24. All rights reserved.