অনলাইন ডেস্ক |
উন্নত চিকিৎসার জন্য বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে দ্রুত দেশের বাইরে পাঠানোর ব্যবস্থা গ্রহণ এবং তার মুক্তির আহ্বান জানিয়েছে বিএনপি।
মঙ্গলবার দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে দলের এ সিদ্ধান্তের কথা জানান মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
গত ২০ জুন বিকেলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল বৈঠকের সিদ্ধান্তগুলো জানাতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বিএনপি মনে করে দেশনেত্রী খালেদা জিয়া শুধু একজন বয়স্ক রাজনীতিবিদ নন, তিনি এই দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে অতুলনীয় অবদান রেখেছেন। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে তার ভূমিকা কিংবদন্তির মতো। তিনবার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন।’
‘তার পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসা প্রয়োজন। সব প্রকার রাজনৈতিক সংকীর্ণতা থেকে বের হয়ে তার সর্বোচ্চ চিকিৎসা এ দেশের মানুষের প্রাণের দাবি’ যোগ করেন তিনি।
চিকিৎসক বোর্ডের প্রধান ডা. এফএম সিদ্দিকীকে উদ্ধৃত করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, খালেদা জিয়া করোনা সংক্রমণ থেকে মুক্ত হলেও কভিড পরবর্তী কয়েকটি জটিলতায় ভুগছেন। তিনি কোনোমতেই ঝুঁকি মুক্ত নন।
তিনি বলেন, ‘হাসপাতালে নন-কভিড এরিয়ায় কয়েকজন নার্স এবং চিকিৎসক ভারতীয় ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হলে, তারা দেশনেত্রীকে হাসপাতালে রাখা সমীচীন মনে করেননি।’
করোনার টিকা প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, টিকার অপ্রতুলতা মানুষের জীবনকে অনিশ্চিত করে ফেলেছে। শতকরা ৭০ ভাগ মানুষকে টিকা প্রদান করতে হলেও ২৬ কোটি টিকা প্রয়োজন যার শতকরা ৩ ভাগ সংগ্রহ করতে পারেনি সরকার।
তিনি বলেন, নিজস্ব দলীয় ব্যক্তির মালিকানার কোম্পানিকে ভ্যাকসিন সংগ্রহের দায়িত্ব দেওয়ায় গোটা জাতি আজ স্বাস্থ্য বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়েছে।
এ সময় বিএনপি মহাসচিব বলেন, ভোজ্য তেলের দাম গত ৬ মাসে প্রতি লিটারে ৩৮ টাকা (৩৩ শতাংশ) বৃদ্ধি পাওয়ায় সাধারণ মানুষ ও কর্মহীন মানুষের জীবন ওষ্ঠাগত।
তিনি বলেন, দাম কমার কোনো সম্ভাবনা নেই- বাণিজ্যমন্ত্রীর এমন উক্তি কোনো মতেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকারের ব্যর্থতার জন্য তার পদত্যাগ করা উচিত।
মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সভায় করোনাকালীন লকডাউনে সংগঠনের বিভিন্ন কার্যক্রম ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
সম্পাদক ও প্রকাশক- মেহেদী হাসান
Copyright © 2025 Livenews24. All rights reserved.