মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের ঢাকা দূতাবাসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়েছে ।
এতে বলা হয়, কভিড-১৯ টিকার ন্যায্য প্রাপ্তি নিশ্চিতকরণে গৃহীত বৈশ্বিক উদ্যোগ ‘কোভ্যাক্স অ্যাডভান্স মার্কেট কমিটমেন্ট’ এর মাধ্যমে কভিড-১৯ ভ্যাকসিনের এই প্রথম চালানটি বাংলাদেশে এসেছে।
দূতাবাস বলছে, যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বব্যাপী কভিড-১৯ ভ্যাকসিন ন্যায্যতার সঙ্গে পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে সর্ববৃহৎ দাতা দেশ হিসেবে ভ্যাকসিনের বৈশ্বিক জোট গাভি-কে পরিকল্পিত ৪ বিলিয়ন ডলার সহায়তার অংশ হিসেবে সম্প্রতি ২ বিলিয়ন ডলার দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এটা দিয়ে গাভি কোভ্যাক্স অ্যাডভান্স মার্কেট কমিটমেন্টের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী ন্যায্যতার সঙ্গে টিকা পৌঁছে দেওয়ার কাজ করছে। কভিড-১৯ মহামারী এই বার্তাই দিয়েছে যে, বৈশ্বিক মহামারির বিরুদ্ধে কোনো একটি দেশ একা কাজ করতে পারে না।
ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলার বলেন, আর সে কারণেই যুক্তরাষ্ট্র, বাংলাদেশ এবং বৈশ্বিক অংশীদাররা এই মহামারী মোকাবিলায় একসঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে চলেছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা এই অভূতপূর্ব বৈশ্বিক স্বাস্থ্য সংকটসহ ভবিষ্যতের সংকটগুলো মোকাবিলায় আরও বেশি সংগঠিত ও সহনশীল ব্যবস্থা গড়ে তুলতে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
মিলার বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে এবং কভিড-১৯ মোকাবিলায় সরকারি কার্যক্রমকে জোরদার করতে এখন পর্যন্ত ইউএসএআইডি, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দপ্তর (ডিওডি) ও যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র (সিডিসি) এর মাধ্যমে ৭৬ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি উন্নয়ন ও মানবিক সহায়তা দিয়েছে।