ঝিনাইদহ সংবাদদাতা
করোনা আতঙ্ক সরকার দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও কোচিং সেন্টার ৩১ মার্চ পযর্ন্ত বন্ধ রাখার কড়া নিষেধাজ্ঞা দিলেও ঝিনাইদহে চলছে জমজমাট কোচিং বানিজ্য। সরকারী আদেশ উপেক্ষা করে ঝিনাইদহের হার্ভার্ড স্কুল এন্ড কলেজ, ওরাকল ও সাইফুর’সসহ বেশকিছু প্রি-ক্যাডেট ও কোচিং সেন্টারে ছাত্রছাত্রীদের জমাবেশ ঘটিয়ে তাদের জীবন বিপদের মুখে ফেলে দেওয়া হচ্ছে। শনিবার সকাল ৯টায় কয়েকটি প্রতিষ্ঠিানের সামনে ঘুরে এমন দৃশ্য দেখা যায়। হার্ভার্ড স্কুল এন্ড কলেজে অভিভাবক ও ছাত্র ছাত্রীদের মাঝে টাকা নিয়ে প্রশ্ন বিতরণ করার দৃশ্য দেখা গেছে। ছাত্রছাত্রীদের বিকাল ৩টায় এসে উত্তরপত্র জমা দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। বেশ কয়েকজন অভিভাকের সাথে কথা বলে এসবের সত্যতা পাওয়া গেছে। সাংবাদিক আসার খবর পেয়ে প্রতিষ্ঠানের কয়েকজন শিক্ষক ৩০/৪০জন ছাত্র ও অভিভাবকে দ্রুত স্থান ছেড়ে চলে যেতে বলেন। কয়েকজন শিক্ষকের কাছ থেকে প্রশ্ন এবং খাতা বিতরণ করার দৃশ্যও চোখে পড়ে। এছাড়া ওরাকল কোচিং সেন্টারের সজল নামে একজন শিক্ষককে গনিতের ক্লাস নিতে দেখা যায়। তার কাছে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে একটি ক্লাস নিচ্ছি তিনি প্রতিষ্ঠানের প্রধানের নাম বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন। সাইফুর’স কোচিং সেন্টারেও একই অবস্থা। রবিউল নামে একজন শিক্ষককে ছাত্রদের প্রয়োজনীয় ক্লাস এবং পরামর্শ দিচ্ছিলেন। সাংবাদিক আসার সংবাদ পেয়ে দ্রুত কোচিং বন্ধ করে বাইরে চলে যান। এ বিষয়ে হার্ভার্ড স্কুল এন্ড কলেজের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান এমএ রহিম বলেন আমি প্রতিষ্ঠানের ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ রেখেছি। কিন্তু পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রদের অভিভাবকদের মাধ্যমে প্রতি সপ্তাহে একটি বিশেষ ভাবে পরীক্ষা নেওয়ার ব্যবস্থা করেছি। আরেফিন মৌ নামে এক অভিভঅবক জানান, তারা তাদের সন্তানকে বাসাতে রাখতেই বেশি ইচ্ছুক। কিন্তু কোচিং সেন্টার মালিকদের পীড়াপিড়িতে পাঠাতে বাধ্য হচ্ছেন। এ ক্ষেত্রে শিক্ষা বিভাগের কোন নজরদারী নেই বলেও অভিযোগ উঠেছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক- মেহেদী হাসান
Copyright © 2024 Livenews24. All rights reserved.