মেহেদী হাসান সোহাগ- মাদারীপুর।।
জামুকার সভায় বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনি ও মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি শরিফুল হক ডালিম, নুর চৌধুরী, রাশেদ চৌধুরী ও মোসলেহ উদ্দিন খানের বীর মুক্তিযোদ্ধার খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়েছে। একইসাথে বঙ্গবন্ধু হত্যায় মদদদাতা জিয়াউর রহমানের খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধে স্মরণীয়-বরণীয় ব্যক্তিদের তালিকা থেকে খন্দকার মোশতাকের নামও বাদ দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এক্ষেত্রে আইনগত বিষয় দেখার জন্য ৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। বুধবার বিকালে মাদারীপুরের রাজৈরে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কার্যক্রম চলাকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) সদস্য শাজাহান খান এমপি এসব কথা বলেন। মঙ্গলবার (০৯ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) ৭২তম সভায় এসব সিদ্ধান্ত হয় বলে আওয়ামীলীগের এ প্রেসিডিয়াম সদস্য জানান।
শাজাহান খান আরো বলেন, খেতাব বাতিলের ব্যপারে ৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির সদস্যরা হলো ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন ,আমি(শাজাহান খান), উপাধ্যক্ষ আঃ শহীদ। এই কমিটি আইনগত বিষয়সহ আইন মন্ত্রনালয়ে মিটিংসহ বিভিন্ন প্রস্তাবনা প্রস্তুত করবে। এই কমিটি শীঘ্রই বসে আইনগত বিষয়গুলো পরীক্ষা নিরিক্ষা করে প্রস্তাবনা দেব।
মঙ্গলবার (০৯ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) ৭২তম সভা হয়। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় বরাত দিয়ে এমপি জানায়, সরকারের খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধার গেজেট অনুসারে সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ‘বীর উত্তম’, শরিফুল হক ডালিম ‘বীর উত্তম’, নূর চৌধুরী ‘বীর বিক্রম’, রাশেদ চৌধুরী ও মোসলেহ উদ্দিন খান ‘বীর প্রতীক’ ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় স্মরণীয়-বরণীয় ব্যক্তিদের তালিকায় ছিল খন্দকার মোশতাকের নাম।
এদের মধ্যে শরিফুল হক ডালিম, নুর চৌধুরী, রাশেদ চৌধুরী ও মোসলেহ উদ্দিন খান স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যা মামলায় দেশের সর্বোচ্চ আদালত কর্তৃক মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি।
সম্পাদক ও প্রকাশক- মেহেদী হাসান
Copyright © 2024 Livenews24. All rights reserved.