গোটা বিশ্বের পরিস্থিতি বিবেচনায় প্রথম শনাক্তের এক থেকে দেড়মাস পরে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠে করোনা। সেই বিবেচনায় এপ্রিলের দ্বিতীয় সপ্তাহে এ দেশের জন্য মারাত্মক সময় বলছেন বিশেষজ্ঞরা। সেক্ষেত্রে এলাকাভিত্তিক নয় দরকার দেশজুড়ে লকডাউন।
করোনা বাংলাদেশে বলতে গেলে অনেকটা সহনীয় পর্যায়েই ছিলো। তবে শনাক্তের মাসখানেক পর এদেশেও স্বরূপে দেখা দিচ্ছে কোভিড-১৯।
গেল তিনমাসে বিশ্বব্যাপী করোনার প্রভাব পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যায়, প্রথম শনাক্ত হওয়ার পর রোগীর সংখ্যা বেড়েছে গাণিতিক হারে। তখনই সীমিত আকারে দেখা দেয় কমিউনিটি ট্রান্সমিশন। এর পরের ধাপে আক্রান্তের সংখ্যা ছড়াতে থাকে জ্যামিতিক হারে। এই পর্যায়ে শুরু হয় গণসংক্রমণ। এক থেকে দেড় মাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে একপর্যায়ে ছোঁয় চূড়ান্ত সীমা। এরপর ধীরে ধীরে কমতে থাকে সংখ্যা। তবে সেই সর্বোচ্চচূঁড়া কোথায় হবে তা নির্ভর করে সেই দেশের সার্বিক প্রস্তুতির ওপর।
সেই হিসেবে এপ্রিলের দ্বিতীয় সপ্তাহ এ দেশের জন্য সবচেয়ে কঠিন সময় হতে পারে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। প্রয়োজনে চলমান ছুটি আরও বাড়ানোর পরামর্শ তাদের।
মঙ্গলবার (৭ এপ্রিল) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগে সাবেক পরিচালক অধ্যাপক বে নজির আহমেদ বলেন, এপ্রিলের মাঝামাঝি বা শেষেও হতে পারে। এখন যেভাবে বাড়তেছে সেটা জ্যামিতি হারে বাড়তেছে।
মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক রিদওয়ানুর রহমান বলেন, আগে টেস্ট কম হচ্ছিলো বলে কম পড়েছিলো। কিন্তু এখন টেস্ট বেশি হচ্ছে ধরাও বেশি পড়তেছে।
অধ্যাপক রিদওয়ানুর রহমান বলেন, আমাদের ক্লাস্টার করে হবে না। পুরো দেশ লকডাউন করতে হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশক- মেহেদী হাসান
Copyright © 2024 Livenews24. All rights reserved.