মোঃ আজাদুল হক আজাদ, উলিপুর (কুড়িগ্রাম),
গরিব ঘরের মেয়ে রুশনি আক্তার এসএসসি ২০২৫-এ জিপিএ ৫ পেয়ে প্রমাণ করলেন, স্বপ্ন দেখার অধিকার সবার আছে
কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর উপজেলার যমুনা বকশী গ্রামের রুশনি আক্তার যেন শত দারিদ্র্যের মাঝেও টিকে থাকা এক আশার আলো। পিতা রফিকুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ। পরিবারের আর্থিক অবস্থা শোচনীয়। তবুও থেমে থাকেনি রুশনি। তার চোখে ছিলো বড় স্বপ্ন—শিক্ষিত হয়ে মানুষের সেবা করার।
এইচএসসি ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তিনি এখন। কারণ এসএসসি ২০২৫ সালের পরীক্ষায় রুশনি আক্তার পেয়েছেন জিপিএ ৫। এ অর্জন সহজে আসেনি। মা অন্যের বাড়িতে গৃহকর্মীর কাজ করেন, হাঁস-মুরগি পালন করে বিক্রি করেন—সবই মেয়ের পড়াশোনার খরচ চালাতে। মায়ের কঠোর পরিশ্রম আর নিজের অদম্য ইচ্ছা ছিল রুশনির এগিয়ে চলার পাথেয়।
রুশনি বলেন, “আমি মেডিকেলে পড়ে চিকিৎসক হতে চাই। এলাকার গরিব মানুষদের বিনামূল্যে চিকিৎসা দিতে চাই।”
তাঁর মা বলেন, “অভাব থাকলেও মেয়ের পড়াশোনায় ছেদ পড়তে দিইনি। ও যেন নিজের স্বপ্ন পূরণ করতে পারে—এইটাই চাওয়া।”
এখন রুশনির দরকার একটি ভালো কলেজে ভর্তি হওয়া ও ভবিষ্যতের শিক্ষাজীবনের জন্য প্রয়োজনীয় আর্থিক সহায়তা। স্থানীয়দের কাছে আবেদন, যারা পারেন, মেয়েটির পাশে দাঁড়ান। কারণ এই একটি স্বপ্ন সফল হলে বদলে যেতে পারে একটি পরিবার, একটি সমাজ, এমনকি একটি প্রজন্ম।