Saturday, April 20, 2024
HomeScrollingদুই ফ্যান,৩ বাতি, ১ ফ্রিজ ব্যবহারে ২০ হাজার টাকা বিদ্যুৎ বিল

দুই ফ্যান,৩ বাতি, ১ ফ্রিজ ব্যবহারে ২০ হাজার টাকা বিদ্যুৎ বিল

 ২০হাজার টাকা বাড়ীর বিদ্যুৎ বিল দেখে অসুস্থ্য স্কুলের পিওন

মেহেদী হাসান সোহাগ-মাদারীপুর ।

২ফ্যান,৩ বাতি, ১ ফ্রিজ ব্যবহারে বাড়ীর বিল ২০ হাজার টাকা। বিদ্যুৎ বিল দেখে যেন মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়েছে। একটি স্কুলে মাসিক বেতন ১০হাজার টাকা তা দিয়ে ৫জনের সংসার ও নিজের খরচ চালিয়ে দেনা থাকতে হয় প্রতি মাসে কিন্ত মে মাসে বিদ্যুৎ বিল ২০ হাজার টাকা দেখে অসুস্থ্য হয়ে পড়েছে ছিলারচর এন্তাজউদ্দিন পাবলিক উচ্চ বিদ্যাললের পিওন আব্দুল হক মুন্সি। মাদারীপুর সদর উপজেলার পশ্চিম রঘুরামপুর গ্রামের মো. আব্দুল হক মুন্সী, হিসাব নং-৩৭২-১২৭৩। জানা যায়, দীর্ঘদিন যাবত আব্দুল হক মুন্সি মাদারীপুুর পল্লীবিদ্যুৎ অফিসের একজন নিয়মিত গ্রাহক, কখনো বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রাখে না। তাছাড়া তার সামন্য বেতনের চাকরির টাকা দিয়ে বিদ্যুৎ বিল দিয়ে সংসার চালাতে অনেক কস্ট হয়। তারপর কখনো বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রাখে না। দুটি ফ্যান, তিনটি বাতি ও একটি ফ্রিজ ব্যবহার করে পিছনের মাসে বিল এসেছে ২৪৪, ২০৩, ৩৬৬,৩৯৫, ৪৬২ টাকা সর্বচ্চো। কিন্তু মে মাসে একই বিদ্যুৎ ব্যবহার করলেও তার বিদ্যুৎ বিল ১০মে আসছে -১৮৮৫ ইউনিট যাহার মোট বিল হয়েছে প্রায় ২০হাজার টাকা। যাহা জুন মাসে পরিশোধ করতে হবে। যদি তারিখ মত পরিশোধ না করা হয়, তাহলে গুনতে হবে বাড়তি আরও ১হাজার টাকা জরিমানা। এমন বিদ্যুৎ বিল তৈরি করার আগেই গত ৩০মে বিদ্যুৎ বিল সংশোধন করে পুণরায় বিদ্যুৎ বিল করার আবেদন করা হলেও তার কোন ব্যবস্থা গ্রহন না করে। পুণরায় ১০জুন আবারও অফিস আবেদন করতে বলেন তদন্ত করার জন্য। এর আগে মিটার পরিবর্তন করে দিলেও বিল সংশোধন করা হয় নাই। এই বিদ্যুৎ বিলের কথা শুনে চিন্তায় চিন্তায় অসুস্থ্য হয়ে পড়ে এই বিদ্যুৎ গ্রাহক। যাদের কাছে যায় তারাই জানায় বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করতে হবে।’

মোঃ আব্দুল হক মুন্সি বলেন, আমি এতো টাকা বিলের কথা শুনে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলাম। এমনকি দুদিন পযন্ত খাওয়া-দাওয়া বন্ধ হয়ে গিয়েছিল চিন্তায়। এতো টাকা কিভাবে পরিশোধ করবো, আমার বেতনের টাকার দিগুন টাকা বিদ্যুৎ বিল এসেছে। আমি এই নিয়ে দুই বার আবেদন করেছি কোন সমাধান পাই নাই। বরং প্রথম অফিসে আসলে কতৃপক্ষ জানায় বিলতো আপনার মিটারে উঠছে আমরা কি করতে পারি। বিল পরিশোধ করতে হবে। এই অস্বাভাবিক বিদ্যুৎ বিল সংশোধন করার অভিযোগ করলে একটি তদন্ত করা হয় যে, আমি অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ চালাই কিনা কিন্ত আমার বিদ্যুৎ বিল সংশোধন করা হয় নাই। বরং বৃহস্পতিবার আসলে আমাকে আবারও আবেদন করতে বলে। এই বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করতে হলে আমাকে দেনা করে পরিশোধ করতে হবে। এবং আমার বেতনের দুই মাসের টাকা চলে যাবে। আমি আমার সন্তান পরিবার নিয়ে কিভাবে চলবো’ আমি এটার একটা সমাধান চাই।

মাদারীপুর পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির ম্যানেজার প্রকৌশলী সৈয়দ সাখাওয়াত হোসেন জানান, বিষয়টি আমি নিজেই দেখতেছি এবং তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।’

মাদারীপুর জেলা প্রশাসক ড. রহিম খাতুন জানান, বিষয়টি অত্যান্ত দু:খজনক, আমি বিষয়টি পল্লীবিদ্যুৎতের ম্যানেজারকে জানাবো অতি সত্তর ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য।

RELATED ARTICLES
Continue to the category

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments