পরপর দুই বলে সেঞ্চুরিয়ান তামিম ইকবাল ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে ফিরিয়ে ম্যাচ ফিরল জিম্বাবুয়ে। দুজনকেই তালুবন্দী করেছেন চাকাবা।
হ্যাটট্রিকের সুযোগ পেয়েছিলেন তিরিপানো। তবে তার সেই সুযোগ চার মেরে নষ্ট করে দেন উইকেটরক্ষক নুরুল হাসান সোহান। তামিম আউট হন ৯৭ বলে ৮ চার ও ৩ ছয়ে ১১২ রান করে। টাইগার অধিনায়কের বিদায়ের পর মাঠে নেমে প্রথম বলেই ডাক মারেন মাহমুদউল্লাহ।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৩৬ ওভার শেষে ৪ উইকেট হারিয়ে ২১৫ রান করেছে বাংলাদেশ। ব্যাটিংয়ে আছেন মোহাম্মদ মিঠুন (১৬) ও নুরুল হাসান (৯)। জয়ের জন্য টাইগারদের দরকার ৮৪ বলে ৮৪ রান।
এর আগে ৩০তম ওভার করতে আসা চাতারার প্রথম বলে চার মেরে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ১৪তম সেঞ্চুরি তোলে নিয়েছেন তামিম ইকবাল। পরের বলেও চার হাঁকান বাংলাদেশের এই ড্যাশিং ওপেনার।
জিম্বাবুয়ের দেওয়া ২৯৯ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশকে দারুণ শুরু এনে দেন তামিম ইকবাল ও লিটন দাস। এই দুই ওপেনারের জুটি ভাঙে দলীয় ৮৮ রানে।
তামিমের ফিফটি উদ্যাপন করার পর ওয়েসলি মাধেভেরের বলে বিদায় নেন লিটন (৩২)। ব্যক্তিগত ৩০ রানে লুক জংওয়ের বলে সাজঘরে ফেরেন সাকিব আল হাসান।
এর আগে তিন ওয়ানডে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে ৪৯.৩ ওভারে সব উইকেট হারিয়ে ২৯৮ রান করে জিম্বাবুয়ে।
হারারেতে মঙ্গলবার টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো করে জিম্বাবুয়ে। দুই ওপেনার রেগিস চাকাবা ও তাদিওয়ানাশে মারুমানি মিলে স্কোরবোর্ডে জমা করেন ৩৬ রান।
স্বাগতিকদের ওপেনিং জুটি ভাঙেন সাকিব আল হাসান। মারুমানিকে (৮) ফিরিয়ে বাংলাদেশকে ব্র্যাকথ্রু এনে দেন দেশসেরা অলরাউন্ডার। এরপর চাকাবা-ব্রেন্ডন টেলর মিলে ৫৪ বলে করেন ৪২ রানের জুটি।
টেলরকে ইনিংস বড় করতে দেননি মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ব্যক্তিগত ২৮ রানে তামিম ইকবালের হাতে বন্দী হয়ে সাজঘরে ফেরেন জিম্বাবুয়েন অধিনায়ক।
নিজের দ্বিতীয় শিকার হিসেবে ডিয়ন মায়ার্সকে (৩৪) ফেরান মাহমুদউল্লাহ। চাকাবার সঙ্গে ৭০ বলে ৭১ রানের জুটি গড়েন তিনি। সতীর্থদের একের পর এক বিদায়ের মাঝে ফিফটি তোলে নেন চাকাবা। মায়ার্সের বিদায়ের পর ওয়েসলি মাধেভেরেকে (৩) আউট করেন পেসার মুস্তাফিজুর রহমান।
ওয়ানডে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি থেকে ১৬ রান দূরে থাকতে তাসকিন আহমেদের বলে বোল্ড হন চাকাবা। জিম্বাবুয়েন উইকেটরক্ষকের ৯১ বলে ব্যক্তিগত ৮৪ রানের ইনিংসটি সাজানো ছিল ৭ চার ও ১ ছয়ে।
চাকাবা ফেরার পর স্বস্তি ফেরে বাংলাদেশ শিবিরে। তবে তা সাময়িক। দ্রুত রান তোলার দিকে মনোযোগ দিয়ে স্বাগতিকদের বড় লিডের পথে নিয়ে যান সিকান্দার রাজা ও রায়ার্ন বার্ল। দুজনের ৮০ বলে ১১২ রানের জুটি ভাঙেন মুস্তাফিজ।
দলীয় ২৮৪ রানে ষষ্ঠ উইকেট হিসেবে ফেরেন রাজা। তার আগে করেন ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ১৭তম ফিফটি। রাজার ৫৪ বলে ৫৭ রানের ইনিংসটি সাজানো ছিল ৭ চার ও ১ ছয়ে। এরপর স্কোরবোর্ডে ১০ রান যোগ হতেই মোহাম্মদ সাইফউদ্দীন ফেরান বার্লকে। ৪৩ বলে ৪ চার ও ৪ ছয়ে ৫৯ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন তিনি।
এরপরের দুই উইকেটও সাইফউদ্দীনের। ডোনাল্ড তিরিপানো (০) ও তেন্দাই চাতারাকে (১) বোল্ড করেন তিনি। নিজের তৃতীয় শিকার হিসেবে শেষ উইকেট ব্লেসিং মুজারাবানিকে (০) বোল্ড করে জিম্বাবুয়েকে দলীয় ৩০০ রানের ঘরে পা রাখতে দেননি মুস্তাফিজ। লুক জংওয়ে অপরাজিত ছিলেন ৪ রানে।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিন ওয়ানডে সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচ জিতে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ।