মেহেদী হাসান সোহাগ- মাদারীপুর।।
‘৯ টায় টিকা দেওয়া শুরু হওয়ার কথা থাকলেও পুরুষদের যিনি টিকা দেন তিনি আসছেন ১০ টায়। ১ ঘন্টা শুধু শুধু দাঁড়াইয়া থাকতে হইছে। আর যে টিকা দেয় সে হাতে কোনো হেক্সিসল নেয় না, তুলা দেয় না, গরুর মতো ইনজেকশন দিয়া ছাইড়া দেয়।’ এভাবেই জানালেন করোনা টিকা নিতে আসা ২৪ বছর বয়সী শিক্ষার্থী মুমতাজুল কবির।’
সরকার ঘোষিত লকডাউনে স্বাস্থ্যবিধি সবখানে মানানোর চেস্টা করা হলেও, স্বাস্থ্যবিধির বালাই নেই করোনা টিকা গ্রহনের সময় মাদারীপুর সদর হাসপাতালে। এছাড়া করোনা আক্রান্ত আত্মীয়ের সাথে দেখা করায় মানছে না কোন বিধি নিষেধ। এমন চিত্র দেখা গেছে মঙ্গলবার (২০ এপ্রিল) সদর হাসপাতালের নতুন ভবনের। তবে সিভিল সার্জন এমন চিত্রে কথা সম্পূর্ণ অস্বীকার করেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, মাদারীপুর সদর হাসপাতালের নতুন ভবনের নিচ তলায় বসানো হয়েছে করোনার টিকা কেন্দ্র। আর উপর তলায় করোনা ইউনিট। হাসপাতালে করোনার টিকা নেওয়ার জন্য ভীড় জমিয়েছে নানা বয়সী মানুষ । ৩ ফুট দূরত্ব মেনে দাঁড়ানোর কথা থাকলেও, অনেকটা গাদাগাদি করেই দাড়িয়েছেন টিকা নিতে আসা লোকজন। কেউবা আবার করোনা আক্রান্ত আত্মীয়ের সাথে দেখা করে অনায়াসেই মিশে যাচ্ছে ভীড়ের মধ্যে। গত ২৪ ঘন্টায় নতুন আক্রান্ত ৬জন। এপযন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ২৫জন, মোট আক্রান্ত ২০৪৪ জন, মোট সুস্থ্য ১৭৫৭, হাসপতালে করোনা আক্রান্ত হয়ে চিৎকিসা নিচ্ছে ৮জন এবং করোনা ১ম ডোজ টিকা নিয়েছে ২৯৬১০ জন ও ২য় ডোজ করোনা টিকা নিয়েছে ৯২৬৮ জন।
করোনার টিকা নিতে আসা মকবুল হোসেন (৫৫) কে এভাবে গাদাগাদি করে লাইনে দাঁড়ানোর ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে বলে, ‘গাদাগাদি কইরা না দাড়াইয়া উপায় আছে কি, আমার মতো অনেক মানুষ আইছে টিকা নিতে, এহন যদি গাদাগাদি কইরা না দাড়াই সেই পিছনে পইড়া যামু, সবাই চায় আগে টিকা নিতে।’
হামিদা বেগম (৪৫) বলেন, উপর তালায় করোনা রোগীদের রাখা হয়েছে, তাদের দেখতে তার আত্মীয়রা আসছে, তারা নেমে যাওয়ার সময় আমাদের লাইনের ভেতর দিয়াই যাওয়া আসা করে।’ আমি টিকা গ্রহন করলাম কিন্ত এভাবে টিকা গ্রহন করলে আমি মনে করি ভয় থেকেই যায়।’
মাদারীপুর সিভিল সার্জন মো. সফিকুল ইসলাম জানান, আমরা সকলকে স্বাস্থ্যবিধি মানার জন্য বলছি এবং ভলান্টিয়ার রাখা আছে তাদের কথা না শুনলে আমরা কি করতে পারি।’
এছাড়া তার কাছে গাদাগাদি করে টিকা গ্রহন করা ও করোনা রোগীর কাছে সচারচর আসা-যাওয়া এবিষয় জানাতে চাইলে তিনি জানান আমরা সবাইকে বলেছি’ পুলিশ দিয়েও বলা হয়েছে’ কিন্ত কেউ শোনে না।’ এখন আমরা কি করতে পারি।’’