Saturday, April 20, 2024
HomeScrollingস্পিডবোট ট্র্যাজেডি: ২৩ সুপারিশ তদন্ত কমিটির

স্পিডবোট ট্র্যাজেডি: ২৩ সুপারিশ তদন্ত কমিটির

মেহেদী হাসান সোহাগ, মাদারীপুর |

মাদারীপুরের শিবচরে কাঁঠালবাড়ি ঘাট সংলগ্ন এলাকায় পদ্মা নদীতে বালুবোঝাই বাল্কহেড ও স্পিডবোট সংঘর্ষের সময় স্পিডবোটের চালক শাহ আলম নেশাগ্রস্ত ছিলেন।

জেলা প্রশাসনের তদন্ত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এছাড়াও তদন্ত কমিটি দুর্ঘটনা প্রতিরোধে ২৩টি সুপারিশ দিয়েছেন।

নেশাগ্রস্ত অবস্থায় স্পিডবোট চালানোকে ওই দুর্ঘটনার মূল কারণ উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শাহ আলম নেশাগ্রস্ত অবস্থায় স্পিডবোট চালানোর কারণেই ২৬ জন যাত্রীর প্রাণহানির মতো মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে।

তদন্ত কমিটি বাংলাবাজার ও মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া নৌপথে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে স্পিডবোট চলাচল ও অব্যবস্থাপনার প্রমাণ পেয়েছে। এছাড়াও তদন্ত কমিটি দুর্ঘটনা প্রতিরোধে ২৩টি সুপারিশ করেছে।

এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল- স্পিডবোটে যাত্রীদের লাইফ জ্যাকেট সরবরাহ করা এবং অতিরিক্ত যাত্রী বহন না করা। সুপারিশগুলো নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন মাদারীপুর জেলা প্রশাসক।

মাদারীপুর জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন বলেন, চালক শাহ আলম মাদকাসক্ত ছিলেন। স্পিডবোট দুর্ঘটনার মূল কারণ ছিল এটি। চালক নেশাগ্রস্ত অবস্থায় স্পিডবোট চালানোর কারণেই ২৬ জন মানুষ প্রাণ হারালেন।

তিনি বলেন, তদন্ত কমিটি দুর্ঘটনা প্রতিরোধে ২৩টি সুপারিশ করেছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল- স্পিডবোটে যাত্রীদের লাইফ জ্যাকেট সরবরাহ করা এবং অতিরিক্ত যাত্রী বহন না করা। সুপারিশগুলো নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

গত সোমবার (৩ মে) শিমুলিয়া থেকে বাংলাবাজার ঘাটে আসার পথে কাঁঠালবাড়িতে নোঙর করা বাল্কহেডকে সজোরে ধাক্কা দেয় একটি দ্রুতগতির স্পিডবোট। এতে প্রাণ হারায় ২৬ জন যাত্রী। আহত হন স্পিডবোটের চালকসহ ৫ জন। দুর্ঘটনার পরে চালক মো. শাহ আলমকে গুরুতর অবস্থায় শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

প্রশাসনের নির্দেশনা ওই চালকের ডোপ টেস্টের নমুনা সংগ্রহ করে রাখা হয়। পরে তার ডোপ টেস্টের রিপোর্ট পজিটিভ আসে। এদিকে মর্মান্তিক এই ঘটনায় কাঁঠালবাড়ি ঘাটের নৌপুলিশের এসআই লোকমান হোসেন বাদী হয়ে শিবচর থানায় ঘাটের ইজারাদার শাহআলম খান, স্পিডবোটের দুই মালিক চান্দু মিয়া, রেজাউল ও চালক শাহআলমের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা করেন।

এই ঘটনায় মাদারীপুরের জেলা প্রশাসন থেকে স্থানীয় সরকার অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আজহারুল ইসলামকে প্রধান করে ছয় সদস্যদের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

ওই ঘটনায় মাদারীপুরের জেলা প্রশাসন থেকে স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক আজহারুল ইসলামকে প্রধান করে ছয় সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। রোববার (৯ মে) মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক রহিমা খাতুনের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন কমিটির প্রধান ও স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক মো. আজহারুল ইসলাম।

RELATED ARTICLES
Continue to the category

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments