Thursday, April 25, 2024
HomeScrollingসেই স্কুলশিক্ষিকা বরখাস্ত

সেই স্কুলশিক্ষিকা বরখাস্ত

অনলাইন ডেস্ক |

পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীকে নিজের অপ্রাপ্ত বয়স্ক ছেলের বউ করায় চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা শামসুন্নাহারকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) সকালে তাকে সাময়িক বরখাস্তের আদেশে স্বাক্ষর করেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোস্তাফিজুর রহমান।

বিষয়টি নিশ্চিত করে মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, দশম শ্রেণিতে পড়ুয়া ছেলের সঙ্গে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীর বিয়ে দেওয়ার বিষয়টি আমার নজরে আসে। এরপর একজন সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে বেগমপুর পাঠানো হয়। তিনি সেখানে গিয়ে ঘটনার সত্যতা পেয়েছেন। তাই শিক্ষিকা শামসুন্নাহারকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মাসুমা আক্তারকে বিষয়টি তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়। অভিযুক্ত শিক্ষিকা তার কাছে ঘটনা স্বীকার করেন।

উপজেলা শিক্ষা অফিসার উত্তম কুমার কুণ্ডু বলেন, অপ্রাপ্ত বয়সে বিয়ে দেওয়ার ঘটনা সত্য প্রমাণিত হওয়ায় ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার সুপারিশ পাঠানো হয়েছে। আজ সকালে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছেন।

প্রসঙ্গত, গত ২০ মার্চ চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা শামসুন্নাহার নিজের দশম শ্রেণি পড়ুয়া ছেলে আব্দুর রহমানের সঙ্গে তার বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থী শারমিন খাতুনের বিয়ে দেন। প্রথম কয়েকদিন বিষয়টি গোপন থাকলেও আব্দুর রহমান স্ত্রীকে নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে গেলে বিষয়টি জানাজানি হয়ে যায়।

গতকাল ২৮ মার্চ বেগমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, মেহেদি রাঙা হাতে ক্লাস করছে ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থী শারমিন খাতুন। বিয়ের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে সে বলে, ‘এক সপ্তাহ আগে ম্যাডামের ছেলের সঙ্গে বিয়ে হয়েছে। বর্তমানে জামাই আমাদের বাড়িতে আছে। আমি বাড়ি থেকে এসে ক্লাস করছি।’

এ সময় শ্রেণিকক্ষে পাঠদান করছিলেন শিক্ষিকা শামসুন্নাহার। পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীর সঙ্গে নিজের ছেলের বিয়ে দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমার বাড়ির অবস্থা খুব একটা ভালো নয়। বিশেষ করে আমার মায়ের শরীর খুব খারাপ। মায়ের ইচ্ছা, নাতির বউ দেখে যাবেন। তার ইচ্ছা পূরণ করার জন্যই ছেলের সঙ্গে ছাত্রীর বিয়ে দিয়েছি। তবে বিয়ে রেজিস্ট্রি করা হয়নি। বেগমপুর দাখিল মাদরাসার শিক্ষক ও বেগমপুর ইউনিয়নের কাজি মফিজুল ইসলাম ধর্মীয় রীতি মেনে বিয়ে দিয়েছেন।’

RELATED ARTICLES
Continue to the category

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments