সাকিব আল হাসান বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অন্যতম ভরসার নাম। তিনি দলে থাকলে একজন বেশি খেলোয়াড় নিয়ে খেলতে নামে টাইগাররা। এবার বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডারের নেতৃত্বে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে গিয়েছেন সোহান-আফিফরা। ২০১০ সালের পর দ্বিতীয়বার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নেতৃত্ব দেবেন তিনি। তিনিই একমাত্র বাংলাদেশি ক্রিকেটার যিনি এই সংস্করণের সবগুলো বিশ্বকাপ খেলেছেন। বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারীও তিনিই। এবার সামনে তাই অনন্য মাইলফলক স্পর্শ করার। তবে বল হাতে তার সাম্প্রতিক ফর্ম যেন মাইলফলক ‘অধরা’ থাকারই ইঙ্গিত দেয়।
সাকিব প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলেছিলেন ২০০৭ সালে। সেবারই যাত্রা শুরু করেছিল ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত সংস্করণের এই বিশ্ব আসর। ২০২১ সাল পর্যন্ত তিনি টানা খেলেছেন। এবারও খেলবেন। টানা আট বিশ্বকাপ খেলা সাকিবের উইকেট সংখ্যা বর্তমানে ৪১। ৯ রানে ৪ উইকেট তার সেরা বোলিং ফিগার। বর্তমান খেলোয়াড়দের কেউই তার ধারেকাছে নেই।
এ তালিকার দ্বিতীয়তে রয়েছেন শহীদ আফ্রিদী। তিনিও ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর অবসর নিয়েছেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে। তার উইকেট সংখ্যা ৩৯। এছাড়া লাসিথ মালিঙ্গা ৩৮, সাঈদ আজমল ৩৬, অজান্তা মেন্ডিস ৩৫ ও উমর গুল শিকার করেছেন ৩৫ উইকেট। এই তালিকায় থাকা সাকিব ছাড়া সবাই গেছেন অবসরে।
এতে লাভ হয়েছে সাকিবেরই। এবার উইকেটের সংখ্যা বাড়ানোর সুযোগ এসেছে তার সামনে। অর্ধশত উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করারও হাতছানি তার সামনে। অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপে ৯ উইকেট শিকার করলেই এই মাইলফল ছুঁয়ে ফেলবেন তিনি। পাশাপাশি তিনিই হবেন ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত সংস্করণের বিশ্ব আসরে এমন কীর্তি গড়া প্রথম বোলার।
তবে সাকিব আল হাসানের সাম্প্রতিক বোলিংও ধারহীন। ত্রিদেশীয় সিরিজে ব্যাট হাতে উজ্জ্বল থাকলেও বল হাতে ছিলেন অচেনা এক সাকিব। তিন ম্যাচে দশ ওভারে বল করে ৯১ রান দিয়ে উইকেট শূন্য।
সাকিবকে কখনও বোলিং নিয়ে কথা শুনতে হয়নি। তবে এবার পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ শেষে তিনি নিজেই স্বীকার করেছেন এদিকে আলাদা নজর দেওয়ার কথা। স্পিন উইকেটের সহায়তায় সাকিব বরাবরই উইকেট নিতে পটু। তবে অস্ট্রেলিয়ার কন্ডিশন স্পিনারদের জন্য অনেক চ্যালেঞ্জিং।
সাকিবের শৈশবের গুরু নাজমুল আবেদীন ফাহিম মনে করেন, ‘সাকিব উইকেটের পেছনে না ছুটে যদি রক্ষণাত্মক বল করে তবে সে সফল হতে পারবে। অস্ট্রেলিয়ার কন্ডিশনে এটিই তার এগিয়ে যাওয়ার একমাত্র উপায় হতে পারে। কারণ সেখানে স্পিন সহায়ক কোনো উইকেট থাকবে না।’
ফাহিম যোগ করেন, ‘অস্ট্রেলিয়ার উইকেটগুলোতে বল টার্ন করতে পারে। তাহলে সাকিব যদি ফ্লাইট দেয় তবে সফল হওয়ার সুযাগ আছে তার। এমনকি বল যদি টার্ন নাও করে তবু ব্যাটারদের পরাস্ত করতে পারে।’