এই ম্যাচে একসঙ্গে দুটি রেকর্ড হাতছাড়া হলো মাশরাফি বিন মুর্তজার। তার মধ্যে একটি রেকর্ড ভাঙায় যেন স্বস্তি পেলেন টাইগারদের সাবেক অধিনায়ক।
টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। প্রথম দুই ওভারে স্কোরবোর্ডে কোনো রান জমা করতে পারেনি তারা। ব্লেসিং মুজারাবানির করা পরের ওভারের প্রথম বলে সাজঘরে ফেরেন তামিম ইকবাল। ৭ বল মোকাবিলা করেও রানের খাতা খুলতে পারেননি তিনি।
শূন্য হাতে সাজঘরে ফেরে বাংলাদেশের হয়ে তিন ফরম্যাট মিলিয়ে সবচেয়ে বেশি ৩৪ বার ডাক মারার অনাকাঙ্ক্ষিত রেকর্ড গড়লেন টাইগার অধিনায়ক। ৩৩ ম্যাচে ডাক মেরে এতদিন মাশরাফি-তামিম একই চেয়ার ভাগাভাগি করছিলেন। সেই সঙ্গে হাবিবুল বাশার সুমনকে টপকে ওয়ানডেতে সবচেয়ে বেশি ১৯ ডাকও নিজের করে নিলেন তামিম।
মাশরাফির আরেক রেকর্ড ভেঙেছেন সাকিব আল হাসান। ইনিংসে নিজের প্রথম উইকেট ব্রেন্ডন টেলরকে আউট করে বাংলাদেশের হয়ে ওয়ানডে সর্বোচ্চ উইকেটের মালিক হলেন তিনি।
মাশরাফি ২২০ ম্যাচে ২২০ ইনিংসে নিয়েছেন ২৭০ উইকেট। তার একটি ২০০৭ সালে আফ্রিকা একাদশের বিপক্ষে। আর বাংলাদেশের হয়ে ম্যাশের উইকেট ২৬৯টি। এই ম্যাচে ৯.৫ ওভারে ৩০ রান দিয়ে ৫ উইকেট নিয়ে সাকিবের উইকেট সংখ্যা দাঁড়াল ২২৭। এই নিয়ে ওয়ানডেতে তিনবার ৫ উইকেট পেলেন সাকিব। তার দুটিই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে।
ব্যাট হাতে অবশ্য সফল ছিলেন না সাকিব। দলের দুঃসময়ে ব্যক্তিগত ১৯ রানে মুজারাবানির দ্বিতীয় শিকার হন তিনি। ব্যর্থ হন মোহাম্মদ মিঠুন (১৯) ও মোসাদ্দেক হোসেন (৫)।
বাংলাদেশ লড়াকু পুঁজি পায় লিটনের চতুর্থ ওয়ানডে সেঞ্চুরির সুবাদে। সতীর্থদের একের পর এক বিদায়ের সময় অবিস্মরণীয় ইনিংস খেলেন তিনি। ৪ উইকেট হারানোর পর মাহমুদউল্লাহকে (৩৩) নিয়ে ৯৩ এবং পরে আফিফ হোসেনের সঙ্গে ৪০ রানের জুটি গড়ে দলের সংগ্রহের ভিত শক্ত করেন ম্যাচ সেরা হওয়া লিটন। তার ১১৪ বলে ১০২ রানের দরকারি ইনিংসটি সাজানো ছিল ৮ চারে।
এরপর শেষদিকে ওয়ানডে ক্যারিয়ার সেরা ৩৫ বলে ৪৫ রানের উল্লেখযোগ্য ইনিংস খেলেন আফিফ। মেহেদী হাসান মিরাজকে (২৬) নিয়ে ৪২ বলে গড়েন ৫৮ রানের জুটি। তাসকিন ব্যক্তিগত এক রানে ফেরেন। মোহাম্মদ সাইফউদ্দীন ৮ রানে অপরাজিত ছিলেন। শরীফুল ইসলাম ১ বল খেলে কোনো রান করতে পারেননি।
জিম্বাবুয়ের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নিয়েছেন লুক জংওয়ে। ২টি করে উইকেট ভাগাভাগি করেন মুজারাবানি ও রিচার্ড এনগারাভা।
জবাব দিতে নেমে শুরুতেই উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। ওপেনার মারুমানিকে (০) ফিরিয়ে বাংলাদেশকে ব্রেকথ্রু এনে দেন সাইফউদ্দীন। চতুর্থ উইকেট হিসেবে টেলরকে (২৪) ফিরিয়ে উইকেট উৎসব শুরু করেন তিনি। জিম্বাবুয়ের হয়ে ৫১ বলে সর্বোচ্চ ৫৫ রান নিয়েছেন উইকেটরক্ষক রেগিস চাকাবা। তাকেও ফেরান সাকিব। অ্যাবসেন্ট হওয়ায় ব্যাটিংয়ে নামেননি টিমিসেন মারুমা।