মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, এ সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে অফিসিয়ালি চিঠি পাঠিয়েছে রাশিয়া। চিঠিতে রাশিয়া যুক্তরাষ্ট্রকে অনুরোধ করেছে, তারা যেন ইউক্রেনে আর অস্ত্র না পাঠায়।
চিঠিতে রাশিয়া হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, যদি অস্ত্র পাঠানো অব্যহত রাখেন তাহলে ভাবতেও পারবেন না এর পরবর্তী পরিণতি কী হবে।
রাশিয়া গত সপ্তাহের শেষে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে চিঠিটি পাঠায়। ওই সময় যুক্তরাষ্ট্র নতুন করে ৮০০ মিলিয়ন ডলারের অস্ত্র সহায়তা পাঠানোর ঘোষণা দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল।
খবরটি প্রথম প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্ট।
তবে রাশিয়ার এমন হুমকির পরও যুক্তরাষ্ট্র পিছপা হয়নি। তারা ইউক্রেনে অস্ত্র সহায়তা অব্যহত রাখার ঘোষণা দিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র প্রথমবারের মতো ইউক্রেনকে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন অস্ত্র দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ১১টি এমআই-১৭ হেলিক্প্টার, ১৮টি ১৫৫ মিলিমিটার কামান ও ৩০০টি ড্রোন।
এরকম উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন অস্ত্র সহায়তা দেওয়ার ক্ষেত্রে কয়েক সপ্তাহ আগেও দোটানায় ছিল জো বাইডেন প্রশাসন। কারণ তাদের ধারণা ছিল এগুলো রাশিয়ার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক আরও কঠিন করে দেবে।
এদিকে রাশিয়ার এ চিঠির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একজন ব্যক্তি সিএনএনকে জানিয়েছেন, রাশিয়া যে এমন চিঠি দেবে এটি জানাই ছিল।
তিনি আরও জানিয়েছেন, রাশিয়া এ চিঠির মাধ্যমে বুঝিয়েছে তারা যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোর অস্ত্র সহায়তার বিষয়টি নিয়ে আরও আগ্রাসী হবে।
রাশিয়ার হুমকির বিষয়ে শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের মুখপাত্র নেড প্রাইসকে সিএনএনের সাংবাদিক ক্যাট বোলডুয়ান প্রশ্ন করেছিলেন।
প্রশ্নের জবাবে নেড প্রাইস বলেছেন, ইউক্রেনকে যুক্তরাষ্ট্র সহায়তা দিয়েই যাবে। জো বাইডেন প্রশাসনকে কোনো কিছু থামাতে পারবে না।
নেড প্রাইস আরও বলেন, রাশিয়ানরা গোপনে কিছু বলে। আবার সরাসরি অনেক কিছু বলে। কিন্তু এর কিছুই যুক্তরাষ্ট্র যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা থেকে বিরত রাখতে পারবে না।
এদিকে বাইডেন গত সপ্তাহে যে ৮০০ মিলিয়ন ডলারের সামরিক সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেলেন সেগুলো ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ইউক্রেনে প্রবেশ করবে, শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে এমনটা জানানো হয়।