মোবাইল, কম্পিউটার কিংবা অন্য যেকোনো ডিজিটাল ডিভাইসে কোরআন তেলাওয়াত করা জায়েজ। এ ক্ষেত্রে স্পর্শ করা ব্যতীত শুধু দেখে দেখে তেলাওয়াত করার জন্য অজু শর্ত নয়। অজু ছাড়াও কোরআন তেলাওয়াত করা যাবে। তবে অজু করে তেলাওয়াত করা মুস্তাহাব। কারণ কোরআন তেলাওয়াত সর্বোত্তম জিকির। আর হাদিসে এসেছে, পবিত্র অবস্থা ব্যতীত হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) জিকির করতে অপছন্দ করতেন। আবু দাউদ : ১৭
অজু ব্যতীত স্ক্রিনে কোরআনে কারিম স্পর্শ করার ব্যাপারে আলেমদের দুটি মত পাওয়া যায়। বর্তমান সময়ের অনেক আলেম বলেছেন যে কোরআনের স্ক্রিনের লেখা স্থায়ী নয়। এটি প্রতিচ্ছবির মতো। এ ছাড়া এর ওপর একটি আবরণও থাকে। তাই অজু ব্যতীত তা স্পর্শ করা যাবে। আল ইসলাম, সওয়াল-জাওয়াব: ১০৬৯৬৬১
আবার কেউ বলেন, অজু ছাড়া স্ক্রিনে কোরআনে কারিম স্পর্শ করা যাবে না। কাগজে লেখা কোরআনে কারিম যেভাবে স্পর্শ করা জায়েজ নেই, তেমনিভাবে স্ক্রিনে লিপিবদ্ধ কোরআনও অজু ব্যতীত স্পর্শ করা জায়েজ নেই। তারা বলেন, প্রয়োজনে স্ক্রিনের পাশের খালি জায়গায় আঙুল দেওয়ার সুযোগ আছে। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আবু বাকর ইবনে হাজম (রহ.) থেকে বর্ণিত, হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) আমর ইবনে হাজমের কাছে যে পত্র লিখেছিলেন তাতে এটাও লিখিত ছিল যে পবিত্র ব্যক্তি ছাড়া কোরআনকে যেন কেউ স্পর্শ না করে। মুয়াত্তা ইমাম মালিক : ৪৫৫
আর স্ক্রিনটাচ মোবাইলে প্লাস্টিক বা কাচের আবরণ যেহেতু মূল স্ক্রিনের সঙ্গে অবিচ্ছিন্নভাবে যুক্ত এবং তাতে হাতের স্পর্শও কার্যকর, তাই এ ক্ষেত্রে অজু ছাড়া গ্লাসের ওপর স্পর্শ করা হচ্ছে, লেখার ওপর নয় এ ধরনের কথা বলা ঠিক নয়। আর মতভেদপূর্ণ মাসয়ালায় সতর্কতা অবলম্বন করাই কাম্য। আর কোরআনে কারিম যেহেতু শ্রেষ্ঠ গ্রন্থ ও মর্যাদাপূর্ণ কিতাব। এ ক্ষেত্রে সতর্কতা হচ্ছে পবিত্রতা অর্জন করে তা স্পর্শ করা। পারতপক্ষে অজু ব্যতীত কোরআনে কারিম স্পর্শ না করাই ইমানের দাবি।