নিহত জুয়েল বেপারী সদর উপজেলার গাছবাড়ীয়া এলাকার আজমত বেপারীর ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত দুইদিন আগে গাছবাড়ীয়া একটি বিয়ে বাড়িতে নাচগান করে এবং পরেদিন শনিবার একই বাড়িতে খাবারের অনুষ্ঠান শেষে রাত ১২টার দিকে মস্তফাপুর বাসস্ট্যান্ড আবুল হোটেল থেকে ৪টা রুটি ও দুটি ডিম বাজি নিয়ে যায় তখন সঙ্গে কয়েকজন লোক ছিলেন।
সকালে গাছবাড়ীয়া রাস্তার পাশে ভোর রাতে নামাজ পড়তে এসে স্থানীয় একজনে একটি ভ্যান দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ স্থানীয় গ্রাম পুলিশের হেফাজতে রাখতে বলে। এর এক ঘণ্টা পর একই এলাকার আব্দুল হাই বেপারীর (দালাল বাড়ি) বাড়ির পেছনে কলাবাগানে জুয়েলের লাশ দেখতে পেয়ে থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে ঘটনাস্থল থেকে ছুরিকাহত লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।
উল্লেখ্য, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে প্রায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে থাকে, পুলিশের মামলা ছাড়াও দুই পক্ষের একাধিক মামলা রয়েছে মাদারীপুর সদর মডেল থানায়।
আবুল হোটেলের কর্মচারী তোতা বলেন, গতকাল আমার কাছ থেকে গাছাবাড়ীয়া খোকন ৪টি রুটি ও ২টি ডিম বাজি নিয়ে গেছে সেসময় ভ্যান চালক দোকানে সামনে ভ্যানের উপরে বসা ছিল এবং নাশতা নিয়ে তার ভ্যানেই তারা চলে যায়।
সাজ্জাত হাওলাদার নামে একজন জানান, রাতে আমিও নাস্তা খেতে গিয়েছিলাম তখন তাদের দেখেছিলাম ঐদোকানে নাস্তা নিতে’
নিহত জুয়েলের বাবা আছমত বেপারী ফোনে বলেন, আমার ছেলের কোনো শত্রু নাই, আমার আছে, তাই হয়তো আমার ছেলেকে মেরে ফেলেছে। আমি যশোর আছি মাদারীপুর এসে থাকায় এসে অভিযোগ করবো।
মাদারীপুর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) এহসানুর রহমান ভূইয়া বলেন, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছি।
এ ছাড়া আমরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি এই ছেলেটিকে অন্য কোনো স্থানে রেখে মৃত্যু নিশ্চিত করে এখানে ফেলে রাখা হয়েছে।