বুধবার সকাল ৬টা ৪০ মিনিটে শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইমরান শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল নয়জনে।
হাসপাতালে দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ইমরানের শরীরের ৯০ শতাংশ দগ্ধ ছিল।
এর আগে মঙ্গলবার বিকেলে বিস্ফোরণের ৪৪ ঘণ্টা পর লন্ডভন্ড হয়ে যাওয়া ভবনের পেছনের ছোট্ট একটি কক্ষ থেকে কেয়ারটেকার মো. হারুনুর রশিদের মরদেহ উদ্ধার করেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
রবিবার সন্ধ্যায় মগবাজারে তিনতলা একটি ভবনের নিচতলায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণের সঙ্গে আগুনের স্ফুলিঙ্গ দেখা যায়। এ ঘটনায় নয়জন নিহতের পাশাপাশি আহত হয়েছেন ৬০ জনেরও বেশি মানুষ। তাদের মধ্যে ১৭ জনকে শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। বাকিদের আশপাশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
বিস্ফোরণে পাশের তিনটি ভবন প্রায় বিধ্বস্ত হয়। আশপাশের অন্তত সাতটি ভবনের কাঁচ ভেঙে গেছে। দুমড়ে-মুচড়ে যায় রাস্তায় থাকা তিনটি বাস।
কী কারণে এই বিস্ফোরণ ঘটেছে তা এখনো নিশ্চিত করতে পারেনি সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থাগুলো। ‘জমে থাকা’ গ্যাস থেকে এমনটি হতে পারে ধারণা করা হলেও বিস্ফোরণের ভয়াবহতার কারণে এ নিয়ে সংশয়ের সৃষ্টি হয়েছে।
ঘটনা তদন্তে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর, বিস্ফোরক পরিদপ্তর, পুলিশ সদর দপ্তর এবং তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ আলাদা কমিটি করেছে।