মাদারীপুর প্রতিনিধি।।
আজ ১৭ই জুলাই, মহান ভাষা সংগ্রামী, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক মরহুম গোলাম মোস্তফা আখন্দ (রতন)।
বাংলার সূর্য সন্তান ,বাংলার গর্ব, মাদারীপুর এর গর্ব। এই মহান বীর সন্তানের প্রথম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে বিভিন্ন পরিকল্পনা থাকলেও করোন ভাইরাসের কারনে শুক্রবার কয়েকটি মসজিদের জুম্মার নামাজের পর দোয়া ও মিলাদ এবং এতিমদের খাবারের ব্যবস্থা করা হয়। তিনি ছিলেন মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলার উমেদপুর ইউনিয়নের চররামরায়ের কান্দি গ্রামের গর্বিত সন্তান।
১৯৪২ সালে ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের কারনে কারাভোগ, ১৯৪৮ সাল থেকেই মায়ের ভাষা বাংলাকে গ্রাস করার অপচেষ্টা প্রতিহত করার প্রতিবাদে অগ্রনী ভুমিকা পালন করে ভাষা সৈনিক গোলাম মস্তফা রতন।
অবশেষে ১৯৫২ সালে ২১ শে-ফেব্রুয়ারী ২ শতাধিক ছাত্রদের নিয়ে ঢাকার রাজপথে মিছিল করে আহত হলেও দেয়া হয়নি তাকে কোন স্বীকৃতি। বহুবার ২১ শে পদক পাওয়ার আবেদন ও কয়েকটি টেলেভিশনসহ বিভিন্ন মিডিয়ায় ফলোআপ করে প্রচার করলেও সরকারের পক্ষ থেকে নেয়া হয়নি কোন ব্যবস্থা। তবে ২০১২ সালে একটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠান তাঁকে সম্মাননা দিয়েছিল।
স্বভাবতই রতন ছিলেন একজন প্রতিবাদী কন্ঠস্বর। ভাষা আন্দোলনে ঢাকায় অংশ নেওয়ার জন্য কয়েকটি জেলা ছাত্রদের নিয়ে একটি তালিকা করা হয়। ১৯৫২ সালে বাংলা ভাষাকে মাতৃভাষা হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য মরিয়া হয়ে পড়েছিল বাংলার আপাময় ছাত্র জনতা। একাত্ততা ঘোষণা করে আন্দোলনের ডাবা নল ছড়িয়ে পড়ে সারাদেশে। ১৯৫২ তৎকালীন বরিশাল বিএম কলেজের ছাত্র গোলাম মোস্তফা রতন এর আহবায়ক নির্বাচিত হন। তাদের মধ্যে বিশেষভাবে ভুমিকা রেখেছিল বাংলর ছাত্র সমাজ। তারই সাথে একাত্ততা ঘোষণা করে আন্দোলনের ঢেউ ছড়িয়ে পড়ে ফরিদপুর, শরীয়তপুর ও বরিশালে। ৫২ এর ২১ শে ফেব্রয়ারি ছাত্র আন্দোলনে অংশ নিতে মিছিল নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ঢুকতে চাইলেই কার্জন হলের সামনে পুলিশ গুলি চালায়।
ভাষা সৈনিক গোলাম মস্তফা রতনের ছেলে মিজান জানান বাবা মৃত্যু আগে আমাদের গল্প বলতেন, মিছিলকারীরা রক্ষা পেলোও সালাম বরকত, রফিক, জব্বার সহ অনেকেই শহীদ হন। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে বেচে যায় আমার বাবা। আজ আমার বাবা নেই আছে শুধু স্মৃতি। সবাই দোয়া করবেন আল্লাহ্ যেন তাকে জান্নাতবাসী করেন, আমীন।